ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

টেকনাফে আনসার ব্যারাকে অস্ত্র লুটের হোতা ফারুক গ্রেপ্তার

ansar-camp-logo-coxbanglaটেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আনসার ব্যারাকে হামলার ঘটনায় মাওলানা আলী আহমদ (৩৭) পরিচয়দানকারী এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনিই পাকিস্তানি জঙ্গি ওমর ফারুক বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ তাঁকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবির থেকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘদিন পাকিস্তানে থাকা ওমর ফারুক টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে ভিন্ন পরিচয়ে অবস্থান করছিলেন এবং তিনি জঙ্গি সংগঠন আরএসওর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মাওলানা আলী আহমদ পরিচয় দিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাঁর আসল নাম ওমর ফারুক বলে জানা গেছে। তবে এ ব্যক্তিই আনসার ক্যাম্পে হামলার নেতৃত্বদানকারী মাওলানা ওমর ফারুক কি না, তা নিশ্চিত করা যায়নি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।’

গত ১২ মে রাতে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের আনসার ক্যাম্পে হামলার ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নুরুল আবসার নামের এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, অস্ত্র লুটের ঘটনাটি ঘটেছে মাওলানা ওমর ফারুক নামে একজন পাকিস্তানি জঙ্গির নেতৃত্বে। আর লুট করা ১১টি অস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ড গুলি মিয়ানমারে আরএসও জঙ্গিদের ডেরায় পাচার করা হয়েছে।

কুতুপালং শিবিরে অবস্থানরত কয়েকজন রোহিঙ্গা জানায়, শিবিরটির ই-২ ব্লকের ফরিদ মাঝির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি মাদ্রাসা আছে। সেখানে কিছুদিন ধরে আরবি শেখাচ্ছিলেন মাওলানা আলী আহমদ। শিবিরের ডি-২ ব্লকে রফিক, জাফর ও সাব্বির নামে তাঁর তিন ভাই রয়েছেন। তাঁরা রোহিঙ্গা সুলতান আহমদের ছেলে। ২০-২২ বছর আগে তাঁরা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন।

গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, আলী আহমদ কিশোর বয়সে জঙ্গি সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনে (আরএসও) যোগ দেন। আরএসও ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে পাড়ি জমান পাকিস্তানে। তাঁর ভাইয়েরা কুতুপালং শিবিরে অবস্থান করেন। আলী আহমদ মাঝেমধ্যে রোহিঙ্গা শিবিরে এলেও বেশি সময় কাটিয়েছেন পাকিস্তানে। করাচির রোহিঙ্গা পল্লীতে আলী আহমদ পরিচিত মাওলানা ওমর ফারুক হিসেবে। সর্বশেষ সাত-আট মাস আগে পাকিস্তান থেকে কুতুপালং শিবিরে পৌঁছে আরবি শিক্ষাদান শুরু করেন।

গ্রেপ্তারের পর আলী আহমদকে উখিয়া থানা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টেকনাফ থানায় নেওয়া হয়েছে। তাঁর প্রকৃত পরিচয়সহ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই চলছে। সিটিএন

 

পাঠকের মতামত: