ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

অনলাইন ডেস্ক ::  বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদৎ বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার স্মরণে নির্মিত জাদুঘরের (পূর্বতন বাসভবন) সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতার এই মহান স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
প্রতিকৃতির বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের পর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়, বিউগলে করুন সুর বেজে ওঠে।
পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট শহিদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত বিশেষ মোনাজাতে এ সময় অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাঁর তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেলসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যদের বুলেটের নির্মম আঘাতে শহীদ হন।
জাতির পিতার দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর মেয়ে, বিশ্ব অটিজম আন্দোলনের অগ্রপথিক সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের স্মৃতি বিজড়িত ভবনটিতে যান (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর) এবং সেখানে কিছু সময় অবস্থান করেন। যেখানে ’৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ইতিহাসের বর্বরতম এক হত্যাযজ্ঞ পরিচালিত হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী পরে বনানী কবরস্থানে যান। যেখানে তাঁর মা’ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেলসহ সেদিনের ঘটনায় নিহত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সমাহিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদনের পর কবরগুলোতে ফুলের পাঁপড়ি ছড়িয়ে দেন।
তিনি সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন এবং বিশেষ দোয়ায় শরিক হন।- বাসস

পাঠকের মতামত: