ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রেখে পেট্রোলিয়াম আইন পাস

parliament_adhivision_kalerkantho_picলাইসেন্স ছাড়া প্রেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ, পরিবহন, বিতরণ উৎপাদন, শোধন ও মিশ্রণ বন্ধে পেট্রোলিয়াম আইন-২০১৬ বিল পাস করা হয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে পাসকৃত এই আইন লংঘনে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটির ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সদস্যদের জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়।

উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারী সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিদ্যুৎ-জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদনক্রমে কোন তেল বিপণন কম্পানী প্রথম শ্রেণির পেট্রোলিয়াম ব্যবসা করার জন্য ডিলার নিয়োগ করতে পারবে। একইভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পেট্রোলিয়াম ব্যবসার জন্য এজেন্ট নিয়োগ করতে পারবে। লাইসেন্স ছাড়া প্রথম শ্রেণির পেট্রোলিয়াম আমদানি, পরিবহন, মজুদ বা বিতরণ করা যাবে না। তবে লাইসেন্স ছাড়া ২ হাজার লিটার পরিমাণ দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির মজুদ ও পরিবহণ করা যাবে। কিন্তু তা এক হাজার লিটার পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া লাইসেন্সধারী মোটরযান বা জ্বালানী ইঞ্জিনের জন্য ৯০ লিটার পেট্রোলিয়াম মজুদ ও পরিবহণ করতে পারবে। একইভাবে বিক্রির উদ্দেশ্য ছাড়া লাইসেন্স ব্যতিত ২৫ লিটার পরিমাণ প্রথম শ্রেণির পেট্রোলিয়াম মজুদ করার বিধানও আইনে রাখা হয়েছে।

বিলে আরো বলা হয়েছে, ২৫ লিটারের বেশী মজুদ করতে হলে লোকালয়, বাসস্থান বা কর্মস্থলের বাইরে বিচ্ছিন্ন স্থানে করতে হবে। প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিস্ফোরক পরিদর্শক লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স নির্দিষ্ট মেয়াদ, শর্ত, ফি প্রদান সাপেক্ষে ইস্যু হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পেট্রোলিয়াম সম্পর্কিত ১৯৩৪ সালের দ্যা পেট্রোলিয়াম অ্যাক্ট আইনটি-১৯৮৬ সনে দ্যা পেট্রোলিয়াম (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স দ্বারা সংশোধন করা হয়। উক্ত আইন দ্বারা পেট্রোলিয়াম এবং অন্যান্য প্রজ্জ্বলনীয় পদার্থের আমদানি, পরিবহন মজুদ, উৎপাদন, শোধন, মিশ্রণ অথবা রিসাইক্লিং এর মাধ্যমে পুন:ব্যবহারযোগ্য করা সংক্রান্ত কার্যাদি সম্পাদন করা হচ্ছে।

 

পাঠকের মতামত: