ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

চার মাস ধরে নিখোঁজ বাবাকে ফিরে পেতে পাঁচ সন্তানের আকুতি

Pres..Pic_1প্রতিবেদক:
কাইফা, মুমতাজ, হাবিবা, সিরাজ ও সাউদ। তাদের বাড়ী টেকনাফ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের খানকারডেইল এলাকায়। চার মাস আগে তাদের বাবা মোহাম্মদ হোছনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। দেখতে দেখতে চারটি মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের কলিজার বাবার কোন হদিস নেই। এরপরও আশাহত নয় অবোঝ পাঁচ শিশু সন্তান। যে কোন মূল্যে তারা বাবকে ফিরে পেতে আশ্রুসিক্ত নয়নে আকুতির কথা জানায়।
এ বিষয়ে ১৬ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের এক আবাসিক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করায় হয় সংবাদ সম্মেলন। এতে স্বামীকে ফিরে পাওয়ার দাবী জানায় রাশেদা বেগম। তিনি বলেন স্বামীসহ আমরা দীর্ঘ দিন প্রবাসে ছিলাম। পরে দেশে চলে আসি। আসার পর দীর্ঘদিনের প্রবাস জীবনের কষ্টার্জীত টাকা দিয়ে টেকনাফে খানকার ডেইল পাড়ায় একটি জায়গা ক্রয় করি। কিন্তু স্থানীয় মোহাম্মদ জোবাইরের নেতৃত্বে একটি ভূমি গ্রাসী সিন্ডিকেট জায়গাটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। ইত্যবসরে ওই চিহ্নিত চক্রটি অবোঝ ৫ শিশু সন্তানসহ আমাদের প্রাণে মেরে ফেলাসহ নানাভাবে হুমকি ধমকি অব্যাহত রাখে। শুরু করে আমাদের বসতবাড়ী দখলের অপচেষ্টা। তাদের সেই অপচেষ্টার অংশ হিসাবে বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসব ঘটনার পর আমার স্বামী কক্সবাজার আদালতে বিচার চাইতে আসলে আমির হামজার ছেলে জোবাইরের নেতৃত্বে টেকনাফের ইউনুচ, লালমিয়া, ইছহাক, আবদুল মজিদ, ফয়েজ উল্লাহসহ বেশ আরো কয়েকজন বখাটে দিনদুপুরে আদালত প্রাঙ্গনে আমার স্বামীকে বেধম মারধর করে। এতে আমার স্বামী রক্তাক্ত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তার অভিযোগ, দীর্ঘ দিন আমার স্বামী হাসপাতালে থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলে সন্ত্রাসীরা পুনরায় চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় আমার স্বামী-সন্তানকে জানে মেরে ফেলার হুমকি অব্যাহত রাখে। আমরা চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সর্বশেষ আমার স্বামীকে জোবাইয়ের নেতৃত্বে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা অপহৃরণ করে নিয়ে যায়।
তারা জানায়, দাবীকৃত চাঁদা না দিলে আমার স্বামীকে তাদের বন্দিদশা থেকে ফেরত দেবে না। ছোট ৫ শিশু সন্তান নিয়ে উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠায় আছি। খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছি। অর্ধহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছি। স্বামীকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

পাঠকের মতামত: