নিজস্ব প্রতিবেদক :: চট্টগ্রাম-জেদ্দা নৌরুটে ২০২৪ সাল থেকে হজযাত্রীদের জন্য ৩২ তলাবিশিষ্ট জাহাজ চলাচল শুরু হবে। দেশের জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্স লিমিটেড এই রুট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে পতেঙ্গার ওয়াটার বাস টার্মিনালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইঞ্জিনিয়ার এমএ রশিদ।
তিনি বলেন, ‘হজযাত্রী বহনে জাহাজ চালুর বিষয়ে আমরা নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ ১১টি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বৈঠকের সার-সংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। সারাবিশ্বে ১০টি ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি রয়েছে- যারা জাহাজের ফিটনেস, রিপেয়ার, পরিচালনাসহ সবকিছু দেখে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়ে থাকে। ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি অনুমোদিত ৩২ তলাবিশিষ্ট একটি পুরাতন জাহাজ আমদানি করব। এতে একসঙ্গে ৩ হাজার হজযাত্রী বহন করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজটি আনার অনুমোদন পেলে, এটি আটদিনে চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরব যাত্রী নিয়ে যাবে। আগে সমুদ্রপথে সৌদি আরব যেতেও এক মাসের মতো লাগলেও, এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ জাহাজগুলি উচ্চ গতিতে চলাচল করতে পারে। আমরা আশা করছি, এর মাধ্যমে হজযাত্রীদের খরচ-সাশ্রয়ী উপায়ে ভ্রমণের বিকল্প দিতে পারব।’
এমএ রশিদ বলেন, ‘সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির অনুমোদন থাকা সাপেক্ষে ক্রুজ জাহাজ আমদানি করা যাবে। আমাদের প্রস্তাব, বছরে দু’মাস হজযাত্রী বহন করবে জাহাজটি। বাকি ১০ মাস এশিয়ার বিভিন্ন রুটে যাত্রী নিয়ে চলবে। হজ মৌসুমে ভালো সাড়া পেলে জাহাজ ভাড়া করে আনা হবে। হজ শুরুর সাত দিন আগে জাহাজ যাত্রা করলে সৌদি আরব গিয়ে ৭-৮ দিন হোটেল ভাড়া করে থাকতে হবে না। এখানেও হজযাত্রীদের এক-দেড় লাখ টাকা বাঁচবে।’
উল্লেখ্য, কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্স এশিয়ার অন্যতম ড্রেজার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা বেশি মূল্যের ড্রেজার তৈরি করেছে। সম্প্রতি কোম্পানিটি চট্টগ্রামে কর্ণফুলী ড্রাই ডক লিমিটেড নামক দেশের প্রথম প্রাইভেট জেটি নির্মাণ করেছে।
পাঠকের মতামত: