চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীদের মাঝে সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি ভাবে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে একটি অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর ও একটি আইপিএস। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, সরকারি হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা লুকোচুরির মাধ্যমে বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর ও আইপিএস আর ব্যবহার করেনা। তবে মাস শেষে সরকারি হিসেবে জেনারেটর ব্যবহার অজুহাতে তেল ক্রয়ের নামে বিপুল টাকার নয়ছয় করে চলছেন। দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্টদের এমন পুকুর চুরি অব্যাহত থাকলেও ঘটনাটি কেউ ক্ষুন্নাক্ষরে টের পায়নি।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ২৫ মিনিটে হাসপাতালের রোগীদের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে অনিয়মের এ চিত্র ধরা পড়েছে। ওইসময় হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই। বন্ধ রয়েছে জেনারেটর ও আইপিএস। স্থানীয় সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেছেন, সরকার বিপুল টাকা খরচ করে রোগীদের মাঝে সেবা নিশ্চিত করতে একটি জেনারেটর ও একটি অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন আইপিএস দিয়েছেন। কিন্তু এই দুটি যন্ত্র হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য কোন ধরণের সেবার কাজে আসেনা। পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্টরা জেনারেটরের তেল ক্রয়ের অজুহাতে প্রতিমাসে ভুঁয়া বিল ভাউচার তৈরী করে বিপুল টাকা সরকারি কোষাগার থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন।
বিষয়টি প্রসঙ্গে জানতে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ডা.আবদুস ছালামের মুঠোফোনে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কয়েকবার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করার কারনে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত: