ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়া ভরামুহুরীতে বাড়ি নির্মাণে বাঁধা হামলা: নারীসহ আহত ৩, রড সিমেন্ট ইট লুট 

এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া

কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিজের বাড়িভিটায় নতুন বাড়ি নির্মাণের সময় হামলা চালিয়েছে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী চক্র। এসময় তাঁরা পরিবার সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জিন্মি করে লুটে নিয়ে গেছে বাড়ি নির্মাণে মজুদ করা রড সিমেন্ট ও ইট। হামলা লুটপাটের সময় বাঁধা দিতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়েছেন আক্রান্ত পরিবারের বাবা-মা ও ছেলেসহ তিনজন। তাদেরকে স্থানীয় চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল বেলা এগারোটার দিকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরী দরবেশ আলীপাড়া এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা।
এ ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারের গৃহকর্তা ফেরদৌস আহমদ এর ছেলে মোহাম্মদ রুবেল বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন।  এজাহারে একই এলাকার ইদ্রিছ আহমদ এর ছেলে মোহাম্মদ মুবিন, আরিফুল ইসলাম, মৃত রব্বত আলীর ছেলে ফরুখ আহমদ ছাড়াও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী এজাহারের প্রেক্ষিতে থানার অপারেশন অফিসার এসআই রাজীব চন্দ্র সরকারকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।
এজাহারে বাদি মোহাম্মদ রুবেল (৩৫) জানান, ভরামুহুরী মৌজার বিএস ১১৮ নম্বর খতিয়ানের বিএস ৭০৭ দাগের ৬ শতক বাড়িভিটা তাঁর পিতা ফেরদৌস আহমদের ওয়ারিশি ও চাচা বশির আহমদ গং থেকে খরিদা সম্পত্তি। দীর্ঘ বছর ধরে তাঁরা ওই বাড়িভটায় বসতঘর তৈরি করে পরিবার সদস্যদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল থেকে বসবাস করে আসছেন।
বাদি এজাহারে দাবি করেন, তাদের বাড়িভিটার ভেতরের একটি অংশ  জোরপূর্বক জবরদখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে অভিযুক্তরা। এরই জেরধরে গত ২৩ এপ্রিল ফেরদৌস আহমদের পরিবার দালান বাড়ি নির্মাণ কাজ কাজ শুরু করলে অভিযুক্তরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে সেখানে হামলা তান্ডব চালায়। ভুক্তভোগী বাদি রুবেল অভিযোগ করে বলেন, হামলার সময় সন্ত্রাসীরা বাদির পরিবার সদস্যদের জিন্মি করে ২০ বস্তা সিমেন্ট, এক মেট্টিক টন রড, ১০ হাজার ইট লুট করে গাড়িতে করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে।
এসময় বাঁধা দিতে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা বাড়ির গৃহকর্তা ফেরদৌস আহমদ (৬০), তাঁর স্ত্রী আলতাজ বেগম (৫৫) ও তাদের ছেলে  মোহাম্মদ রুবেলকে (৩৫) লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এঘটনার পর আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। বাদি মোহাম্মদ রুবেল অভিযোগ করে জানান, আমার বাড়িতে হামলা ও মালামাল লুটের ঘটনায় থানায় সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে এজাহার জমা দিয়েছি। থানার অপারেশন অফিসার রাজীব চন্দ্র সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতাও পেয়েছেন। সেখানে উল্টো অভিযুক্তরা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অবস্থায় আমরা প্রশাসসের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার এসআই রাজীব চন্দ্র সরকার বলেন, হামলার ঘটনায় দুইপক্ষের লোকজন কমবেশি আহত হয়েছে। জখমের ধরণ ও ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনা করে এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। #

পাঠকের মতামত: