ছবির ক্যাপশন: সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেছেন, চকরিয়া পৌরসভার বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ নেতৃবৃন্দ।
চকরিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা:
গতকাল ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বড়ধরণের কোন সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর এজেন্টদেরকে বের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫টি কেন্দ্রে নগ্ন ভাবে ভোট ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন, বিএনপির মেয়র পদ প্রার্থী বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম হায়দার। তিনি এ প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় ওই ১৫টি কেন্দ্রে নতুন ভাবে ভোট গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। গতকাল বিকাল ৩ টায় তার বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
চকরিয়া পৌর সভার ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর পরই বিএনপির প্রার্থীর পক্ষ থেকে ১৫টি কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিন এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে মেয়র প্রার্থীর ব্যালেট কেড়ে নিয়ে নৌকা মার্কায় সীল মেরে বাক্স ভর্তি করেছে। এ ধরণের ভোট ডাকাতির ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিএনপির এজেন্ট, মেয়রপ্রার্থী ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী পর্যন্ত ভোট ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা পাইনি। তিনি অভিযোগ করেছেন,আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন নির্যাতিতদের আইনী সহযোগিতা না করে ভোট ডাকাতদেরকে ব্যালেটের সীল মারার পথ উম্মুক্ত করে দিয়েছে। এসময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও দলীয় ক্যাডারদের হাতে শাররীক ভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন। ভোট ডাকাতদের হাতে শাররীক ভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন, বিএনপি নেতা বাবুল চৌধুরী, যুবদল নেতা বাদশা, ইলিয়াছ, ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদুল ইসলাম সুমন, সালাহ উদ্দিন। এছাড়া ভোট ডাকাতির প্রতিবাদ করায় আওয়ামীলীগ নেতা ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী জালাল উদ্দিন ও তার ভাই বেলাল এবং কাউন্সিলর প্রার্থী জসিম উদ্দিন, ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এনামুুল হক বাবুলও আহত হয়।
যেসব ওয়ার্ডে ভোট ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে সেসব ওয়ার্ড গুলো হল, ১নং ওয়ার্ডের চরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,আর রায়েদ কমপ্লেক্স, ৩নং ওয়ার্ডের বাটাখালী ২য় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিকদারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪নং ওয়ার্ডের প্রদীপালয় স্কুল, কোরক বিদ্যাপীঠ, ৫নং ওয়ার্ডের কারাইয়াঘোনা পুরাতন জামে মসজিদ সংলগ্ন মোহাম্মদীয়া হাফেজখানা, করাইয়াঘোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়, ৭নং ওয়ার্ডের নিজপানখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পালাকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮নং ওয়ার্ডের চিরিঙ্গা মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম দিগরপানখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৯ থেকে ভোট ডাকাতির ঘটনা শুরু হয়্। ওই সময় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রশাসন ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোট ডাকাতির ঘটনায় কোন হস্তক্ষেপ না করে সরকার দলের ক্যাড়ারদেরকে উৎসাহ ও সহযোগিতা করেছেন বলে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী অভিযোগ করেছেন। তিনি এসব কেন্দ্রে ভোট বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দাবী করেছেন। তিনি দাবী করেন, শুধুমাত্র ২নং ওযার্ডের ২টি ভোট কেন্দ্র ছাড়া কোন কেন্দ্রেই সুষ্ঠ ভাবে ভোট হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফখরুদ্দীন ফরায়েজী, সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, যুবদল নেতা সাইফুল কবিরসহ বিএনপির সহযোগি নেতাকর্মীরা।##
পাঠকের মতামত: