সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় কিছু যুবক সংবদ্ধ হয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে প্রায় দুই একর, বা ৫ কানি কৃষি জমি স্কেভেটর দিয়ে কেটে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে।
গত চারদিন ধরে প্রতি মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঠি কাটে । ফলে স্থানীয় এলাকার রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে । কিন্তু কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান ধরেছে ।
স্থানীয়দের প্রশ্ন হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছে নাতো?
জানা যায়, হারবাং ইউনিয়নের শওকত ওসমান , জাগের উল্লাহ , মিজানুর রহমান , জাফর আলম, সোহেল, খোকন সিকদার, আজাদুল ইসলামসহ একটি বড় সিন্ডিকেট এসব মাটি কাটার সাথে জড়িত । সবাই স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা বলে জানা গেছে ।
হারবাং ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আজাদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মাটি কাটার বিষয়ে কোনোকিছু জানি না ।
কৃষি কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, জমির উর্বরতা শক্তি ওপর থেকে ১৫-২০ ইঞ্চির মধ্যে থাকে। এই অংশে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়ামসহ বিভিন্ন উপাদান থাকে। এই উপাদান গাছকে ঘন সবুজ রাখে, শিকড় বিস্তারে সহায়তা করে, সময়মতো ফুল ফোটায় ও ফসল পাকায়, ফসলের গুণগত মান বাড়ায়, ডাল ও ফসলের ফলন বাড়ায়, শস্যের দানা পুষ্ট করে এবং উদ্ভিদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। তাই ওপর থেকে মাটি সরিয়ে ফেলায় উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় সেই জমির ওপর বিভিন্ন পদার্থ জমে উর্বরতা শক্তি ফিরে আসতে শুরু করে। এভাবে আগের মতো উর্বরতা শক্তি ফিরে আসতে কমপক্ষে ১০-১৫ বছর সময় লাগে। আর এভাবে মাটি বিক্রি অব্যাহত থাকলে একসময় ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: নাসিম বলেন, ‘কৃষকদের মাটি বিক্রি না করার বিষয়ে সচেতন করার পরও তাঁরা আমাদের কথা শুনছেন না। নগদ টাকার আশায় তাঁরা মাটি বিক্রি করছেন। মাটি বিক্রি করে সাময়িক অভাব দূর হলেও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
এই ব্যাপারে হারবাং ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা, চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মুটোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য নেয়া হয়নি ।
পাঠকের মতামত: