মনির আহমদ, চকরিয়া :: মহাসড়কের চকরিয়ার ফাসিয়াখালীতে স্বাধীন পরিবহন নামের নিয়ন্ত্রনহীন এসি বাস গাড়ীর চাপায় চাঁদের গাড়ী জিপ খাদে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই সুফিয়া (৩৫ ) নামের এক নারী যাত্রী, আলী হোসেন (১৩) নামের জীপ গাড়ীর শিশু হেলপার ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে।
ডুলাহাজারা হাইওয়ে থানার দ্বায়িত্বরত এএসআই তোফাজ্জল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ী দুইটি জব্দ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, চকরিয়া বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রীবাহী একটি চাঁদের গাড়ী জীপ নং যশোর ক ৭৮৯ আলীকদমের উদ্ধেশ্যে ছেড়ে ফাসিয়াখালী এন আলম পট্রোল পাম্পের নিকট পৌঁছলে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম মুখি স্বাধীন পরিবহনের এসি বাস নং চট্রমেট্রো ব ১১-১৪১২ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে চাঁদের গাড়ী জীপকে পাশ দিয়ে জোরে ধাক্কা দেয়। এসময় বাসের ধাক্কা খেয়ে জীপগাড়ী মহাসড়কের পার্শের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই এক নারী যাত্রী ও হেলপার গুরুতর আহত হয়। মাথার খুলি উড়ে গিয়ে হেলপার ঘটনাস্থলে এবং নারী যাত্রী হাসপাতালের নেবার পথে মারা যায়।
নিহত ও আহতদের চকরিয়া জমজম হাসপাতালে নেয়া হলে নারী যাত্রী সুফিয়া (৩৫) কে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। অপরাপর আহতদের চিকিৎসাধিন রাখেন। নিহত হেলপার মোং আলী হোসেন (১৩) আলীকদম উপজেলার চৈক্ষং সিরাজ কারবারী পারা তালেব আলীর পুত্র এবং নিহত সুফিয়া বেগম চকরিয়া পৌর সভার ৭ নং ওয়ার্ড পালাকাটা খোন্দকার পাড়া গ্রামের আলী আকবরের কন্যা এবং বদরখালীর ছৈয়দ আলমের স্ত্রী।
আহত ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা মো. মুবিন (৪০), নাঈম (১৪), কবির আহমদ (২৮), মোহাম্মদ ফারুক (১৮) ও নিহত সুফিয়া বেগমের কন্যা শিশু আদিফা মনি (৩)। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে মুবিন ও নাঈম-এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করা হয়েছে। হতাহতরা সবাই জীপ গাড়ীর যাত্রী ছিলেন।
অপরাপর আহতরা নিহত সুফিয়ার ৩ বছরের কন্যা শিশু, ও ৭ বছরের পুত্র শিশু, ১৮ বছরের যুবতি বোন, ও ১৫ বছরের ছোট ভাই। ডুলাহাজারা হাইওয়ে থানার দ্বায়িত্বরত এএসআই তোফাজ্জল ঘটনার সত্যতা শিকার করেছেন। তিনি দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ী দুইটি জব্দ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
পাঠকের মতামত: