ঢাকা,শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় চাকচিক্য বাদ দিয়ে গুণগত মানসম্পন্ন শাড়ি-ত্রিপিসে আকৃষ্ট হচ্ছে ক্রেতারা

এম জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া ::

চকরিয়ার ঈদ বাজারে দেশী-বিদেশী কাপড় মজুদ করেছে ব্যবসায়ীরা। বিগত বছরগুলোর মতো ভারতীয় সিরিজ নাটকের নায়ক নায়িকাদের নামে কাপড় তেমন তুলেনি ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশী মড়েল নায়িকাদের ছবি সহকারে বেশ কিছু কাপড় বিভিন্ন মার্কেটে প্রদর্শিত অবস্থায় রাখলেও এবার এখানকার ক্রেতাদের রুচি ভিন্ন। তারা চাকচিক্যে মুগ্ধ না হয়ে গুণগত মানের কাপড় কিনতে শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে ক্রেতা বাড়লেও ১৫ রোজার পর পুরোধমে বিকিকিনি শুরু হবে বলে ব্যবসায়ীদের অভিমত। ঈদবাজারের নিরাপত্তায় তিনস্থরের বলয় গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে এএসপি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা পৌরশহর ঘিরে মাহসড়কের দুই পাশে বেশিরভাগ বিপনীকেন্দ্র। এখানে আনোয়র শপিং কমপ্লেক্স, চকরিয়া সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, হক সুপার মার্কেট, ছিদ্দিক প্লাজা, রুপালী শপিং কমপ্লেক্স, মসচিজদ মার্কেট, রুপজাহান প্লাজা, আবদুল মতলব শপিং কমপ্লেক্স,চকরিয়া শপিং কমপ্লেক্স, চকরিয়া সিটি সেন্টার, ওয়েষ্টার্ণ প্লাজা, ওসান সিটি মার্কেটসহ অন্তত ৩০টি ছোট-বড় মার্কেট ঈদ কাপড়ের রুপসুধা বাড়িয়েছে।
কথা হয় ওসান সিটি মাকর্েেটর কারুশৈলীর মালিক মুকুল কান্তি দাশের সাথে। তিনি বলেন, আমি টাঙ্গাইল থেকে শাড়ি, পানাম নগর, ইসলামপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন কারখানা থেকে অর্ডার দিয়ে ও বাছাই করে গুণগত মানসম্পন্ন ত্রীপিস ও ফোর পিস এবং ইন্ডিয়ান ওয়ান পিস এনেছি। রোজার শুরু থেকে ক্রেতা আসা শুরু করলেও বিক্রয় আশানুরুপ নয়। ১৪-১৫ রোজা থেকে বিক্রির ধুম পড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
অর্পন ফ্যাশনের মালিক রণি দাশ এনেছেন, নানা রঙ্গের পাঞ্জাবী। তিনি বেেলন, গ্রামীন এলাকার ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পাঞ্জাাবী আনা হয়েছে। এখন দুই একটি করে বিক্রি হচ্ছে। মাঝ রমজান থেকে বেচাকেনা বাড়বে।
নিউ সুপার মার্কেটের সৌদিয়া ক্লথ স্টোরের মালিক ফরিদুল ইসলাম চকরিয়া নিউজকে বলেন, আমার দোকানে ছেলে মেয়ে সকল বয়সী ক্রেতার সুবিধার্থে কাপড়ের সম্ভার ঘটিয়েছি। রোজার শুরু থেকেই বেচাকেনা হচ্ছে। বিক্রয় আরো বাড়বে ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে।
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন শত থেকে সাত হাজার টাকা মূল্য পর্যন্ত শাড়ী ও ত্রিপিস আনা হয়েছে। তবে কোন দোখানেই মূল্য তলিকা দেখা যায়নি। ফলে স্বল্প দামের চাকচিক্যে ভরপুর কাপড় কিনে অনেক ক্রেতা ঠকছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান চকরিয়া নিউজকে বলেন, ঈদ বাজার মনিটরিং কমিটি হয়েছে। রোজার প্রথম দিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবসায়ীদের ক্রেতা সুবিধার্থে নানা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমি অথবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ আরাফাতের নেতৃত্বে একদিন পরপর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হবে। কোন অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা।
চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মো. মতিউল ইসলাম চকরিয়া নিউজকে বলেন, আমি কয়েকদিন সিভিল পোশাকে মার্কেট ঘুরেছি। রমজানে সওদা করতে আসা ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ১০ রোজার পর থেকে ছদ্মবেশে পুরুষ ও মহিলা পুলিশ মার্কেটের ভেতর টহল দেবে। পাশাপাশি মার্কেটের বাইরে পোশাক পরিহিত স্বশস্ত্র পুলিশ অবস্থান করবে। যে কোন উপায়ে চুরি ছিনতাই ইভটিজিংসহ অপরাধ ঘটতে দেয়া হবেনা।

পাঠকের মতামত: