চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গত ২৩ এপ্রিল সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে দক্ষিণ খিলছাদক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের এসএও রায়হান কবির শাকিলের বিরুদ্ধে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের চরম ভোট জালিয়তির অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নৌকা প্রকীত নিয়ে প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আরো ৩জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ আহমদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, খীল ছাদক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩০ ভোট, আনারস প্রতীক নিয়ে মক্কী ইকবাল হোসেন পেয়েছেন ২৫২ভোট। কিন্তু মুহুর্তের মধ্যে কয়েক লক্ষ টাকার বাণিজ্যের বিনিময়ে সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার রায়হান কবিব ভোটের ফলাফল পাল্টিয়ে ফিরোজ আহমদকে দেখিয়েছেন ২৫২ভোট ও তার প্রতিদ্বন্ধী মক্কী ইকবালকে দেখিয়েছে ৪৩০ ভোট। ফলে কৌশলে স্বল্প ভোটের ব্যবধান দেখিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফিরোজ আহমদের নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এজন্য তিনি ওই কেন্দ্রে পূণ:নির্বাচন অথবা পূণরায় ভোট গণনা করার দাবী জানান। একই অভিযোগ করেন ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থী মুর্শিদা খানম। তিনি বলেন, নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ৩১২ ভোট, প্রতিদ্বন্ধী তাসমিন জাহান পেয়েছেন ১৯২ ভোট। কিন্তু মুর্শিদার ভোট দেখানো হয়েছে ১৯২ টি ও প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী তাসমিনকে ৩১২ভোট দেখিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। একই ধরণের অভিযোগ করেছেন অপর আরো এক প্রার্থী। লিখিত অভিযোগে ৪জন প্রার্থী কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের খিলছাদক গ্রামের পূণনির্বাচন দাবী সহ অভিযুক্ত অসৎ ও দূর্নীতিবাজ সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সহ চাকুরী থেকে অব্যাহতি কামনা করেছেন। অন্যথায় উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন সহ বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করবেন বলে হুশিয়ারী দেন। এজন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
পাঠকের মতামত: