ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

গোল্ডেন কমা মেইন্ বিদেশী অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশী সিনেমা ‘আয় না’র ঝুলিতে

received_894681480664571বিনোদন ডেস্ক ||  ‘আয় না’ সিনেমা আলপ্যাভিরামা-এশিয়া শর্ট এবং ডকুমেন্টন্টরী ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ২০১৬ সালে ৭ অক্টোবর গোল্ডেন কমা মেইন্ শ্রেষ্ঠ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন । এটি খুব সুনামি অ্যাওয়ার্ড হিসেবে আখ্যায়িত। ইন্ডিয়ার হিমাচলে গত ২ অক্টোবর-২০১৬ তে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল শিমলা আয়োজনে শ্রেষ্ঠ শর্ট ফিল্ম ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্যাটাগরি’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে তোফা অভিনীত ‘আয় না’ সিনেমা। ভারতের চতুর্থ ইন্ডিয়া সিনে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে স্টুডেন্ট শর্ট ফিল্ম সিলেকশন বিভাগে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ‘আয় না’ সিনেমা। শুধুই যে বিদেশী অ্যাওয়ার্ড তা নয়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয় শিশু চলচ্চিত্র অ্যাওয়ার্ডের পাশাপাশি দেশীও অনেক অ্যাওয়ার্ড রয়েছে ‘আয় না’ সিনেমায়।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের শ্রী দুন্দিরাজ গোবিন্দ ফালকেকে ভারতীয় সিনেমা জগতের পিতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তাঁর স্মরণে বিশ্বের তরুণ নির্মাতাদের চলচ্চিত্র প্রদর্শন হলে, সেখানেও স্টুডেন্ট সেকশনে শ্রেষ্ঠ অ্যাওয়ার্ড ‘তোফা’ অভিনীত ‘আয় না’ সিনেমায় হয়। বলতে বাধা নেই, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ‘আয় না‘ সিনেমা গন্ডির বাইরে বেরিয়ে সোৎসাহে সারা বিশ্বে বিচরণ করছে। পরিচালক তাওকীর ইসলাম শাইক দিল্লী ফিল্মে লেখাপড়া করেন বলে, বাংলোর শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শন করে অর্জন করেছেন অ্যাওয়ার্ড।

বলতেই হয়, প্রতিশ্রুতিশীল ও প্রতিভাবান জাতীয় পরিমন্ডলের অভিনেতা নজরুল ইসলাম তোফা ‘আয় না’ সিনেমায় প্রান খুলে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন। এই সুদক্ষ অভিনেতা অভিজ্ঞতার আলোকে নরসুন্দর অর্থ্যাৎ নাপিত চরিত্রে চমৎকার অভিনয় করেছেন। তিনি বলেন, রাজশাহী চারুকলা মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি অভিনয় করেন। নাট্যগুরু মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব নাট্যকার ও পরিচালক শিমুল সরকারের ধারাবাহিক নাটক ‘চোরকাব্য’, ‘ডাইরেক্টর’, ‘মামার হাতের মোয়া’, ‘সাহস স য় ব্যূরো’ এবং প্যাকেজ ‘শাস্তি’ নাটকে অত্যন্ত সফলতার সাথে অভিনয় করে মিডিয়া জগতে পরিচিত হোন।

তাছাড়া শাহরিয়ার চয়ন, আব্দুল্লাহ আল মামুন সনেট, আশিক রাজ, রমো রশিদ, ইহতেশাম জনি, মিজান খান, আশিক উল আলম, নান্নু মাহমুদ, মাহমুদ হোসেন মাসুদ এবং প্রয়াত গোলাম পাঞ্জাতন সহ বেশ কিছু পরিচালকের ধারাবাহিক নাটক এবং প্যাকেজ নাটকে অভিনয় করার পর রাজশাহী তরুণ নির্মাতা তাওকীর ইসলাম শাইকের ‘আয় না’ সিনেমায় অভিনয় করেন।

আসলে ‘আয় না’ সিনেমা একটি শর্টফিল্ম, ইটালীর এক ফেস্টিভ্যালের জন্য নির্মাণ করেছেন। আশা নুরূপ ফলদোয় হয়েছে। এরপর পরিচালক তাওকীর ইসলাম শাইক ফিল্ম নির্মাণে পূর্ন লেন্স ব্যবহার করে পূর্ণ দৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ করবেন বলে জানালেন। তাছাড়া বেশ কিছু ফেস্টিভ্যালে সিলেকশন পেয়েছে জানালেন নজরুল ইসলাম তোফা। ইতিমধ্যে ‘আয় না’ সিনেমা অনেক জায়গায় অফিশিয়্যাল সিলেকশন পেয়েছে গুরুত্বের সহিত। দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা, চতুর্থ আন্তর্জাতিক উডপেকার চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় এবং আমেরিকার ডলাসের প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবেও বিশেষ প্রদর্শনীর।

এদিকে দিল্লি­ শর্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও নয়ডা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও প্রদর্শিত হয়েছে এবং নবম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব, সেখানেও বাংলাদেশ ইয়ং ফিল্ম মেকার ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ২০১৬-তে ‘আয় না’ সিনেমা।

‘আয় না’ একটি নাপিত পরিবারের নিজ সন্তানের স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি। সন্তান চুল কাটা পেশাকে পছন্দ করেন না। বাবা নরসুন্দর পেশাকে নিয়ে বাঁচতে চান এবং উপদেশ দেন। সন্তান আনন্দ সাকিব খানের অভিনয়ে বিভর। কিন্তু তা কি করে হয়, নাপিত বাবা এক সময় মারা গেলে নাপিত পেশা তার জীপিকার পাথেয় হয়। এমন ভাবেই কাহিনি চলতে থাকে।

পরিচালক বলেন নজরুল ইসলাম তোফা অনেক পরিশ্রমী একজন অভিনেতা, সব চরিত্রের অভিনয়ের যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারবেন। রীতিমত তাঁর অভিনয়ে তিনি মুগ্ধ।

তোফা বলেন, রাজশাহী অবস্থানের সুবাদে আগামীতে বরেন্দ্র প্রোডাকশনের পরিচালক আহসান কবীর লিটনের ফিল্মে অভিনয় করবেন এবং পরিচালক নাট্যগুরু শিমুল সরকার ও তাওকীর ইসলাম শাইকের আরো ভালো কাজে ভালো অভিনয় দেখাতে আশা পোষন করেন।

নাটক করতে হলে, নাটকের বই পড়ার বিকল্প নেই। ভালো নাটক ও সিনেমা, অভিনয় চর্চার জন্য অত্যন্ত জরুরী। আরো বলেন, এপার বাংলা ও ওপার বাংলার প্রায় সাড়ে তিন হাজার বই মনের ক্ষুধা মিটাতে সংগ্রহে রেখেছেন এবং সংগ্রহ করছেন। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বড় হতে হলে এবং খাঁটি মানুষ হতে হলে সত্য, সুন্দর, মঙ্গলের পথে চলতে হবে।

পাঠকের মতামত: