সিএন ডেস্ক :: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার ভোরে গাজা শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েলের দাবি, গাজা থেকে আগুন বেলুন উৎক্ষেপণের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
টানা ১১ দিনের আন্তঃসীমান্ত সংঘাতের পর ২১ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। বিমান হামলায় গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন নারী-শিশুসহ শতাধিক ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলি হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে হামাসের এক মুখপাত্র জানান, জেরুজালেমে পবিত্র মসজিদ রক্ষায় সাহসী ও প্রতিরোধ অব্যাহত রাখবে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ জানায়, খান ইউনুস ও গাজা শহরে হামাসের পরিচালিত সামরিক স্থাপনায় তাদের যুদ্ধবিমান আঘাত করেছে।
ইসরায়েলির বাহিনীর দাবি, ওইসব স্থাপনা থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছিল। গাজা উপত্যকা থেকে সন্ত্রাসী পদক্ষেপ অব্যাহত থাকলে আইডিএফ পুনরায় লড়াই শুরুসহ যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলায় হতাহতের কথা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের দমকল সেবা জানিয়েছে, মঙ্গলবার গাজা থেকে আগুন বেলুন উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এতে দক্ষিণ ইসরায়েলের অন্তত ২০টি ফসল ক্ষেতে আগুন লেগেছে।
ইসরায়েলি বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে পতাকা হাতে ইসরায়েলিরা জেরুজালেমের পুরনো শহরের দামেস্ক গেটে জড়ো হয়। সেখান থেকে তারা ইহুদিনের পবিত্র পশ্চিম দেয়ালে মিছিল নিয়ে যায়। এতে ফিলিস্তিনিরা ক্ষোভ ও নিন্দা জানায়।
এর আগে পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি জাতীয়তাবাদীদের পতাকা মিছিল নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল হামাস। মিছিলের আগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী নিজেদের সতর্কতা বাড়িয়েছিল। সম্ভাব্য ফিলিস্তিনি রকেট হামলার মোকাবিলায় আকাশ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আয়রন ডোমও মোতায়েন করা হয়।
পাঠকের মতামত: