তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সংসদে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন,২০০৬-এর আওতায় বাতিলকৃত ‘দ্য নিউজ পেপার ইমপ্লয়িজ (কনডিশনস অফ সার্ভিস) এ্যাক্ট, ১৯৭৪টি যুগোপযোগী করে ‘গণমাধ্যম কর্মী (চাকুরির শর্তাবলী) আইন, ২০১৫’ শিরোনামে পুনঃ প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে করে সাংবাদিক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ সম্ভব হবে। পাশাপাশি মানহানি মামলার ক্ষেত্রে ‘গ্রেফতারি পরোয়ানা’র পরিবর্তে ‘সমন’ জারির বিধান রেখে আইন সংশোধন করা হয়েছে।
সংসদে প্রশ্নোত্তরে আজ বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
তিনি আরও জানান, বর্তমান সরকারের বিগত ৭ বছর মেয়াদে ৭১৬টি পত্রিকার নিবন্ধন প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈ-মাসিক ও ষান্মাষিক পত্রিকার সংখ্যা ২ হাজার ৮৩৪টি।
প্রেসক্লাবের মাধ্যমে আইডি কার্ড প্রদানের পরিকল্পনা নেই
রহিম উল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানান, সাংবাদিকতা পেশার ক্ষেত্রে পৃথক নীতিমালা করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাধ্যমে আইডি কার্ড প্রদানের কোনো পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের নেই। তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরেরে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কমরত সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে “প্রেস এক্রিডিটেশন নীতিমালা” প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নীতিমালার বিধানের আলোকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে যে কোন বিভাগ অথবা জেলা থেকে প্রকাশিত সরকারী মিডিয়া তালিকাভুক্ত পত্রিকাকে দৈনিক প্রচার সংখ্যার ওপর ভিত্তিক করে এক্রিডিটেশন কার্ড প্রদান করা হয়ে থাকে। নয়া দিগন্ত
পাঠকের মতামত: