মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কয়েক দফা অঝরে কেঁদেছেন। মৃত্যুর রায় শুনার পর থেকেই মূলত তার এই অবস্থা বলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জেল সুপারের বরাত দিয়ে সূত্র জানায়, বুধবার সকালে মৃত্যুর রায় শুনে কেঁদেছিলেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে চান। পরে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিকেলে পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারো কয়েকবার কেঁদেছেন। এছাড়া সবসময় তাকে চিন্তিত ও বিচলিত থাকতে দেখা গেছে।
অপরদিকে বুধবার রাতে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন কারাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, মীর কাসেম আলী প্রাণভিক্ষার জন্য যৌক্তিক সময় পাবেন।
তবে যৌক্তিক সময় কতটুকু এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করবে উনি যখন যে উত্তর দিচ্ছেন, সেটার ওপর। উনি যখন সময় চাইবেন এটার পেছনে ওনার একটা যুক্তি থাকতে হবে। যদি আমরা মনে করি সেটা যুক্তিসঙ্গত তবে সে অনুযায়ী সময় দেয়া হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গণমাধ্যম কর্মীরা কাশিমপুর কারা ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ কারা অভ্যন্তরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়া কারাগারের বাইরে পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিও লক্ষণীয়।গোনিউজকে
পাঠকের মতামত: