এম.এ মান্নান, কুতুবদিয়া :: কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালুর ৩মাসের মাথায় বন্ধ হয়ে গেছে বহুল কাংখিত এক্স-রে বিভাগ। দ্বীপ কুতুবদিয়ায় এটি যুগান্তকারি সাফল্য ফের ভোগান্তিতে।
সাড়ে ৩ ‘শ টাকার এক্স-রে করাতে বাহিরে গিয়ে খরচ পরে এক হাজার টাকা। উপজেলায় একাধিক ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থাকলেও বিদ্যুৎ সমস্যায় কেউ এক্স-রে সুবিধা দিতে পারেনি। ফলে চিকিৎসা সেবায় রোগীদের ভোগান্তির সীমা কম নয়।
৫০ শয্যার হাসপাতালে অন্যা ন্যা সেবা পর্যাপ্ত থাকায় জেলায় এখন প্রথম স্থানে রয়েছে। গুরুত্ব পূর্ণ এক্স-রে বিভাগটি বন্ধ গত এক মাস ধরে। টেকনিশিয়ান চলে গেছে- এটাই কারণ।
বৈদ্যুতিক ঝুঁকিতে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন পরিচালনা দূরহ ব্যাপার হলেও দ্বীপে প্রথম হওয়ায় চাহিদা ছিল প্রচুর। প্রতিটি এক্স-নে মাত্র ৩০০ টাকায় সাশ্রয়ী দামে ১০ থেকে ১৫ টি এক্স-রে হতো বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
যখন সাধারন রোগীরা অবগত হলো তখন টেকনিশিয়ান অজ্ঞাত কারণে চলে যায়। বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের গুরুত্বপুর্ণ সেবাটি। ফের ভোগান্তিতে রোগীরা।
কুতুবদিয়া স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় ফোরমের সদস্যে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, চিকিৎসক তার মায়ের একটি বুকের এক্সরে করাতে বলেছেন। এসের জানতে পারে হাসপাতালে এক্স-রে হয়না গত ১মাস যাবৎ। চকরিয়া,চট্টগ্রাম দৌড়াতে হবে। দ্বীপবাসির মৌলিক সুবিধা নিশ্চিতে সরকারি হাসপাতালে রেডিওগ্রাফার নিয়োগ দিয়ে ভোগান্তি কমানোর দাবি জানান তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা: গোলাম মোস্তফা নাদিম বলেন, তিনি ব্যক্তিগত উদ্যো গে কুতুবদিয়া হাসপাতালে অন্যাান্যগ সেবার পাশাপাশি অতি গুরুত্বপূর্ণ এক্স-রে বিভাগ চালু করেছিলেন। স্বল্প বেতনে প্রাইভেেট টেকনিশিয়ান থাকতে চায়না। সরকারি ভাবে রেডিওগ্রাফার নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত এক্স-রে করা সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: