রাজধানীর কল্যাণপুরে ৫ নম্বর রোডের ৫ তলা ভবনে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হয়েছে। অপারেশন স্ট্রম ২৬ নামে চালানো এক ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে ভবনে থাকা ৯ জঙ্গি মারা যায় পুলিশের গুলিতে। অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান এই খবর নিশ্চিত করেছেন। জঙ্গিরা নিহত হবার পর পুলিশ অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে।
র্যাব-পুলিশের অন্তত ১০০০ হাজার সদস্য অংশ নেন অভিযানে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভবন ও তার আশেপাশের এলাকা ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই অভিযান শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের মুহুর্মূহু গুলির শব্দ শোনা যায়। ওই ভবনে ১১ জন জঙ্গি ছিল। এর মধ্যে সোমবার রাতে ভবনে ঢোকার সময় পুলিশের গুলিতে এক জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়। আরেকজনকে আটক করা হয়।
সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে কল্যাণপুর ৫ নম্বর সড়কে ওই ভবনে ঢোকার চেষ্টা করে পুলিশ। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে দেশীয় হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে জঙ্গিরা।
ভোর সাড়ে চারটায় ঘটনাস্থল থেকে আমাদের রিপোর্টার নুরুজ্জামান লাবু জানান, কল্যাণপুর মেইন রোড থেকে ৫ নম্বর রোডের চারপাশে এক- দেড় কিলেমিটার এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শতাধিক গাড়ি মোতায়েন করা হয়। তখন জানানো হয় ভোরের সূর্য উঠলেই অভিযান শুরু হবে।
ডিবি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল বাংলা ট্রিবিউনকে তখন এসব তথ্য জানান।
জানা যায়, জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরু করলে জঙ্গিরা আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দিয়ে পুলিশকে প্রতিহত করা শুরু করে। তারা পুলিশের ওপর গুলি ও হাত বোমা নিক্ষেপ করে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে এক জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়। জঙ্গিদের আরেকজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর থানা পুলিশ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিলে কল্যাণপুরের মেস বাসায় জঙ্গিবিরোধী তল্লাশী শুরু করেন। কল্যাণপুরের ৬ নম্বর রোড থেকে তল্লাশী শুরু হয়। কয়েকটি মেসে অভিযান চালিয়ে তারা ৫ নম্বর রোডে আসেন। এই রোডে জাহাজ বিল্ডিং খ্যাত ৫ নম্বর বাসায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। পুলিশ তিনতলা পৌঁছার পরই শুরু হয় জঙ্গি হামলা। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে এক জঙ্গি নিহত হয়। আটক করা হয় আরেকজনকে।
আটক জঙ্গির বরাত দিয়ে তখন পুলিশ জানিয়েছিল ভবনটির ৫ তলায় ১১জন জঙ্গি রয়েছে। বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদও ছিল সেখানে।
পাঠকের মতামত: