প্রেসবিজ্ঞপ্তি :: সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে পবিত্র কুরআন মাজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রতিবাদে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার শহর শাখা। ৭ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের ভোলাবাবুর পেট্রোলপাম্প এলাকা থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কালুরদোকান এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
শহর জামায়াতের সেক্রেটারী রিয়াজ মুহাম্মদ শাকিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের এসিষ্ট্যান্ট সেক্রেটারী জাহেদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী জেলা মজলিশে শূরা সদস্য ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর, শহর সাংগঠনিক সেক্রেটারী দরবেশ আলী আরমান, শহর শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য নুরুল আমিন, জাহেদুল ইসলাম নোমান, শ্রমিক কল্যান জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এমইউ বাহাদুর, পর্যটন থানা শাখা সভাপতি মোঃ শাহজাহান, শহর শ্রমিক কল্যান সেক্রেটারী রাশেদুল হক, ছাত্রশিবির কক্সবাজার শহর সেক্রেটারী আব্দুল মালেক প্রমুখ।
মিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা এসিষ্ট্যান্ট সেক্রেটারী জাহেদুল ইসলাম বলেন, সুইডেনে পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। সারা বিশ্বে মুসলমানদের নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। মুসলমানদের ওপর গণহত্যা, দখল, নির্যাতন, লুটপাট চালানোর সাথে সাথে তথাকথিত সভ্য দেশগুলো মুসলমানদের কলিজায় আঘাত দিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সুইডেনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্রবাদীদের দ্বারা পবিত্র কুরআন পোড়ানো হয়েছে- যা মুসলমানদের প্রতি চরম ধৃষ্টতা। এ গর্হিত কাজ কোনোভাবেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা হতে পারে না; বরং মত প্রকাশের স্বাধীনতার আড়ালে পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধকে অবমাননা করা হয়েছে। এসব দেশ নিজেদের সভ্য বলে দাবি করে এবং অন্য দেশকে মানবাধিকারসহ নানা বিষয়ে ছবক দেয়। কিন্তু পৃথিবীর প্রায় ২০০ কোটি মুসলমানদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় কুরআন পুড়িয়ে, মুসলমানদের কলিজা দগ্ধ করে সুইডেন কোন সভ্যতার পরিচয় দিচ্ছে- তা বিশ্বের শান্তিকামী ও বিবেকসম্পন্ন মানুষের বোধগম্য নয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এর আগেও এপ্রিল’২০২৩ ও ২০২০ সালে সুইডেনে একই কাজ করেছিল উগ্রপন্থিরা। কিন্তু সুইডেন সরকার বা জাতিসংঘ কেউ-ই তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। সুতরাং নিজেদের মর্যাদা, অধিকার ও মূল্যবোধকে টিকিয়ে রাখতে মুসলমানদেরকেই দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কুরআন ও মুসলমানদের জাতিসত্তার প্রশ্নে সকল মুসলিম নেতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন ঈমানের দাবি। আমরা অবিলম্বে পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত এবং এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পুণরাবৃত্তি রোধে সুইডেন সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। একই সাথে ওআইসি, আরবলীগ, জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিকেকবান সকল মানুষকে এহেন ঘৃণ্য কর্ম বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
পাঠকের মতামত: