ঢাকা,শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে সড়ক উন্নয়নে দীর্ঘসূত্রিতায় জনদুর্ভোগ

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::  পর্যটন শহর কক্সবাজারের সড়ক উন্নয়ন কাজে মহাপরিকল্পা গ্রহন করা হলেও বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতায় মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের প্রধান সড়ক সহ কয়েকটি সড়ক উন্নয়নে ইতোমধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকারও বেশী। যা বাস্তবায়ন করবে (কউক)। এ ছাড়া মহেশখালীর প্রধান সড়ক পুননির্মাণে এক বছর ৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও এখনো কাজই শুরু হয়নি।
সরকার সড়ক উন্নয়ন কাজে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিলেও আমলাতান্ত্রিক সমস্যা ও সড়ক প্রশস্তকরণে জঠিলতায় নির্মাণ কাজ যথা সময়ে হচ্ছে না। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে মহেশখালীর প্রধান সড়কটি পুননির্মাণের জন্য এক বছর আগে ৬৩ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমলাতান্ত্রিক জঠিলতার কারণে এখনো কাজ শুরু হয়নি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ যাচাই বাচাই করে কাজ করতে পারবে এমন ঠিকাদারকে কাজ না দেওয়ায় পুনরায় ঠিকাদার পরিবর্তন করতে হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত অভিযোগ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন দপ্তরে।
কক্সবাজার শহরের গুরুত্বপুর্ণ সড়ক কলাতলী থেকে মেরিন ড্রাইভ পর্যন্ত সড়কটি গত ফেব্রুয়ারি মাসে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩ মাসের মধ্যে কাজ শুরু শেষ হবে এমন সময় উল্লেখ করলেও তাই উদ্বোধন হয়েছে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে ৩ মাস পরে। রাস্তা প্রশস্ত করণে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এমনটি হয়েছে জানালেন সংশ্লিষ্টরা। পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের সার্বক্ষণিক তৎপরতায় সড়কটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানালেন স্থানীয় একাধীক ব্যবসায়ি।
এ দিকে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রশস্তকরণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এতে চার লেনে উন্নীত হচ্ছে কক্সবাজার হলিডে’র মোড় থেকে বাসস্ট্যান্ড। ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯৪ কোটি ১৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এতেও সড়ক প্রশস্তকরণ কিংবা অধিগ্রহন জটিলতায় দীর্ঘসূত্রিতার আশংকা করছেন বিশিষ্ট জনরা।
পরিকল্পিত নগরায়নের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের সৌন্দর্য বর্ধন ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে জুন ২০২১ পর্যন্ত।
কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল হাসেম জানিয়েছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতায় সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বাড়ায়। যে প্রকল্পটি ইতোমধ্যে গ্রহন করেছে তা কউক দ্রুত বাস্তবায়ন করলে কক্সবাজার শহরের পুরো দৃশ্যপটই পাল্টে যাবে। এতে সড়ক প্রশস্তকরনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কিংবা অধিগ্রহন যাই হউক না কেন তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় পিছিয়ে পড়বে কক্সবাজার।
কউক সুত্রে জানা যায় প্রকল্পের আওতায় ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটি চার লেন করা হবে। এটা যেহেতু সড়ক বিভাগের রাস্তা, তাই সড়ক বিভাগের গেজেট অনুযায়ী রাস্তার প্রশস্ততা যেখানে যতটুকু আছে ততটুকু জায়গা ব্যবহার করে আমরা কাজ করবো। সড়ক বিভাগের সাথে ইতিমধ্যেই আমাদের সমঝোতা হয়েছে। বিগত দুই আড়াই-বছর ধরে আমরা প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করছি।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ চকরিয়া নিউজকে জানান, প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান প্রধান সড়ক প্রশস্ত করার পাশাপাশি ফুট ওভার ব্রিজ, ড্রেন, ব্রিজ-কালভার্ট, ফুটপাত, সাইকেল ওয়ে নির্মাণ করা হবে। এছাড়া সবুজায়ন, সড়ক বাতি স্থাপন, সিসি ক্যামেরা এবং ওয়াইফাই সংযোগ স্থাপন করা হবে।

পাঠকের মতামত: