ডেস্ক নিউজ : প্রতি রাতেই অভিযান চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ চলছে মাদক ব্যবসায়ী বা চোরাচালানি বা বিক্রেতাদের। প্রথম দুদিন এককভাবে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। তারপর পুলিশও আলাদাভাবে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে। এতে করে অনেক মাদক চোরাচালানি বা বিক্রেতাদের মৃত্যু হচ্ছে। প্রতিদিনই এর সংখ্যা বাড়ছে। আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত নিহদের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭৩রে।
যেই মাদক জীবন কেড়ে নিচ্ছে। সেই মাদকের উত্সভূমি হচ্ছে মিয়ানমার। বাংলাদেশকে টার্গেট করে মিয়ানমার সীমান্তে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশত ইয়াবা কারখানা। মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে ট্রলারযোগে মাছের আড়ালে মরণ নেশা ইয়াবার বড় বড় চোরাচালান আসছে বাংলাদেশে। আর দেশে ইয়াবা আনতে মিয়ানমারের সঙ্গে সরাসরি নেটওয়ার্কে জড়িত কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার বড় বড় গডফাদাররা। তারা মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের কাছে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চাহিদা অনুযায়ী ইয়াবা দেশে আনছেন।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের প্রায় ৪৩টি পয়েন্ট দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে ইয়াবা পাচার করা হচ্ছে। এর মধ্যে টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপের মধ্যবর্তী প্রায় ১৪ কিলোমিটার নাফ নদীর চ্যানেল এলাকা ইয়াবা পাচারের প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহার করে চোরাচালানিরা। ইয়াবা চোরাচালানে ছোট নৌকা, ট্রলার, মালবাহী ছোট জাহাজ ব্যবহার করা হচ্ছে। ইয়াবার ৯০ শতাংশই নাফ নদী ও সাগর পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। আমদানি করা গাছের মধ্যে খোড়ল কেটে ও মাছের প্যাকেটের মধ্যে ইয়াবা আনা হয়।
আর সেই বাঁধ ভাঙা জোয়ারে অতি লাভের আশায় নিজেকে ভাসিয়ে দিচ্ছে তৈরি হওয়া মাদক ব্যবসায়ীরা। সারাদিন এই ব্যবসায় কত ছেলে-মেয়ের জীবনকে ঠেলে দিয়েছে অন্ধকারে। দিনশেষে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখো কি পেলে তুমি? চিন্তা করতে করতে হয়ত রাতের অন্ধকারেই তুমিও চলে যাবে পরপারে। কী জবাব দিবে আল্লাহর কাছে?
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের আগ মুহূর্তে হয়ত ওই ব্যক্তি নিজের ভূলটা বুঝতে পেরেছে। চিৎকার করে হয়ত বলতে চেয়েছিল- ও মাদক! একি করলে? কি পেলাম তোমার কাছে? শেষ পর্যান্ত জীবনটাই কেড়ে নিলে।
পাঠকের মতামত: