ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আসামী ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর ‍হামলা চালিয়েছে রোহিঙ্গারা !

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া ::
দুধর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আবু তাহেরকে আটকের পর নিয়ে থানায় নিয়ে আসার সময় পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে তাহেরের সহযোগিরা। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ‍ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে।

বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটায় কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ২০ নং ক্যাম্পে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাহেরকে ছাড়িয়ে নিতে এ হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ক্যাম্প-২০ থেকে পুলিশ একজন উশৃংখল রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে আসার সময় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্প ২০ অভিযান চালিয়ে দুধর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আবু তাহেরকে আটক করে নিয়ে আসার পথে ৪/৫ শতাধিক রোহিঙ্গারা পুলিশকে অবরোদ্ধ করে রাখে। এসময় ক্যাম্পের অভ্যান্তরীণ সড়ক ব্যারিকেট দিয়ে রাখে। পরে ক্যাম্পে নিয়োজিত বিশেষ আইন শৃংখলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আসামী সহ পুলিশকে উদ্ধার করে। ওই সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ২ রাউন্ড ফা‍ঁকা গুলি বর্ষন করে। আটককৃত আবু তাহের মিয়ানমারের তুমরু“ বাজারের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ হোছন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ক্যাম্প পুলিশ একজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করার পর তার সহযোগিরা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো বলে জেনেছি। পরে অবশ্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ধৃত আসামীকে নিয়ে উখিয়া থানার পুলিশের নিকট সোপর্দ্দ করেছেন।

এদিকে ক্যাম্পে হঠাৎ করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে।
রোহিঙ্গা নেতা সিরাজুল মোস্তাফা ও মোহাম্মদ নুর জানিয়েছেন, কিছু সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব সন্ত্র‍াসীদের হাতে উখিয়ার ২২টি রোহিঙ্গা শিবিরে প্রায় ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জিম্মি হয়ে আছে।সন্ত্রাসীরা দিনের বেলায় ঘুমিয়ে থাকলেও রাত হলে ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারনে যুবতি মহিলাদের ঘরে রাখতেও তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ না হলে একদিন রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের বিপক্ষে অবস্থান নেবে।

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, এনজিও সংস্থার লোকজন রোহিঙ্গাদের দা, কোড়াল, সরবরাহ করছে। ওই সব রোহিঙ্গারা সাধারণ রোহিঙ্গাদের মারধর করতে দ্বিধাবোধ করেনা।

পাঠকের মতামত: