নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় জনপদের বদরখালী ইউনিয়নে অবস্থিত বদরখালী ফিশিং বোট মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে সদস্যদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সমিতির বর্তমান অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির চুড়ান্ত অডিট মতে ১৭১ জন সদস্য নিয়ে তৈরী করা ভোটার তালিকায় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সহকারি জজ কক্সবাজার সদর আদালতের আদেশ থাকলেও চকরিয়া উপজেলা সমবায় বিভাগের কর্মকর্তারা তা লঙ্ঘন করে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, চকরিয়া উপজেলা সমবায় বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তারা আর্থিক সুবিধা নিয়ে বদরখালী ফিশিং বোট মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতির বর্তমান অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির চুড়ান্ত অডিট মতে ১৭১ জন সদস্য নিয়ে তৈরী করা ভোটার তালিকাটি বাদ দিয়ে নামে-বেনামে আরো ১৮৬ জনকে নতুন সদস্য করে মোট ৩৫৭ জনকে ভোটার হিসেবে দেখিয়ে অপর একটি ভোটার তালিকা তৈরী করে ভোটদনের সুযোগ দিচ্ছেন।
এ অবস্থায় সমিতির বর্তমান অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আয়ুব আজম বাহাদুর বাদি হয়ে বুধবার ২৯ ডিসেম্বর ব্যবস্থাপনা কমিটির চুড়ান্ত অডিট মতে ১৭১ সদস্য বিশিষ্ট প্রকৃত ভোটার তালিকা নিয়ে আদালতের আদেশ অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করতে প্রয়োজনীয় গ্রহণের আবেদন জানিয়ে কক্সবাজার জেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। একইসঙ্গে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার দপ্তরে।
সমিতির বর্তমান অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আয়ুব আজম বাহাদুর লিখিত অভিযোগে বলেন, সমবায় আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ৩০ ডিসেম্বর বদরখালী ফিশিং বোট মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতির নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করেন। এরই আলোকে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি (এডহক কমিটি) চুড়ান্ত অডিট মতে সমিতির ১৭১জন সদস্য প্রকৃত ভোটার হিসেবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে ভোটার তালিকা জমা দিই।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রস্তুতি মুর্হুতে ব্যবস্থাপনা কমিটির কতিপয় কিছু সদস্য বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে অনুমোদন বিহীন বেআইনীভাবে আরও ১৮৬ জনকে নামে-বেনামে সদস্য দেখিয়ে মোট ৩৫৭ জনের ভোটার তালিকা জমা দেয়। যদিও বিজ্ঞ আদালতের আদেশ ছিল ১৭১ সদস্য নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। এব্যাপারে দুইপক্ষের সমঝোতায় গঠিত উকিল কমিশনের (আইনগত) মতামতেও তা পরিস্কারভাবে বলা আছে।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আয়ুব আজম বাহাদুর অভিযোগ করে বলেন, আদালতের আদেশ এবং উকিল কমিশনের মতামত থাকলেও নির্বাচন পরিচালনা কমিটি (সমবায় বিভাগের কর্মকর্তারা) তা মানছেন না। তাঁরা সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির অডিট মতে ১৭১ সদস্য নিয়ে তৈরী করা প্রকৃত ভোটার তালিকার বদলে কুটকৌশলে তৈরী ৩৫৭ ভোটারের তালিকা নিয়ে নির্বাচন করার চেষ্ঠা করছেন। আমি এই ধরণের অনিয়মের নির্বাচন বন্ধে কক্সবাজার জেলা সমবায় কর্মকর্তা ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জানতে চাইলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা সহকারি সমবায় কর্মকর্তা মো.আবু তাহের বলেন, ব্যবস্থাপনা কমিটির দেয়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী আমরা নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করেছি। তবে দুইটি ভোটার তালিকা জমা দেয়া হলেও আমরা বর্তমান অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের দেয়া ভোটার তালিকাকে গুরুত্ব দিয়েছি।
পাঠকের মতামত: