ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরের পদত্যাগ দাবি বিএনপির

image_150637_0নিজস্ব প্রতিবেদক :::

ঢাকা: নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ লোপাটের ঘটনায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি।

শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সর্বশেষ বিশাল অঙ্কের অর্থ লোপাটের ঘটনায় দেশের আর্থিক খাতে ব্যাপক ধ্বস নামবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশের শীর্ষ পর্যায়ের অর্থনীতিবিদরা। দেশের অর্থনীতিকে রাবিশে পরিণত করার জন্য অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দায়ী। ৮০০ কোটি টাকা হ্যাক হয়ে যাওয়ার পরও তারা এখনো দায়িত্ব পালন করছেন কোন নৈতিক অধিকারে? আমরা অবিলম্বে অর্থমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করছি।’

‘সমস্ত ব্যাংক আজ ফোকলা হয়ে পড়েছে’ অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, এসব জাল-জুয়া-চুরির ঘটনায় দেশের সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ী সমাজ আজ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। মানুষ এখন আর ব্যাংকে টাকা রাখতে সাহস পাচ্ছে না। দেশে আজ ’৭৪-এর অবস্থা রিরাজ করছে। সেসময় যেভাবে ব্যাংক লুট ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটত তা এখনো অহরহ ঘটছে। বর্তমানে দেশের আর্থিক খাত ভেঙে পেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ ধ্বংস হতে আর বেশি সময় লাগবে না।’

অর্থ জালিয়াতির বিভিন্ন ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংক লুটপাটকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের জোর দাবি জানিয়েছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, ‘জালিয়াতির এতবড় ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের প্রভাবশালী মহল ও ব্যাংক কর্মকর্তারা জড়িত বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায় থেকে স্বীকার করাও হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ নেতৃবৃন্দ যারা গত তিন বছরে সরকারি কাজের বাইরে ঠুনকো অজুহাতে সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, হংকং, মালেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, দুবাই ভ্রমণ করেছেন তাঁদের পাসপোর্ট যাচাই করে অনুসন্ধান করলেই এই আন্তর্জাতিক জালিয়াত চক্রের রাঘব বোয়ালদের সংশ্রব বেরিয়ে আসবে।’

এদিকে বাংলাদেশের পণ্যবাহী কার্গো বিমান সরাসরি যুক্তরাজ্যে অবতরণে নিষেধাজ্ঞায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটি মনে করে, এ অবস্থা চলতে থাকলে রপ্তানিতে অশনি সংকেত দেখা দেবে এবং অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে দেশের গার্মেন্টসহ বিভিন্ন রপ্তানি খাত। দেশ বঞ্চিত হবে গার্মেন্ট খাত থেকে প্রাপ্ত বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, “মূলত ভয়াবহ এক অবরোধের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মূল কারণ দেশে গণতন্ত্রহীনতা, জবাবদিহিতার অভাব। যার কারণে দেশের অর্থনৈতিক সেক্টরে চলছে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ মতো অরাজক পরিস্থিতি।”

পাঠকের মতামত: