দীর্ঘ ৭ মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত এক ডাক্তার
বান্দরবান প্রতিনিধি :: চিকিৎসক সংকটে আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। কাগজে কলমে ১১ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন ৪ জন।
কিন্তু কর্মস্থলে থাকেন শুধুমাত্র ১ জন চিকিৎসক। এদিকে নিয়মিত সরকারি বেতন নিলেও যোগদানের পর থেকে গত ৭ মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ডা. ইফতেখারুল ইসলাম। ফলে আলীকদম উপজেলার প্রায় ৮০ হাজার মানুষের চিকিৎসার ভার পড়েছে একজন ডাক্তারের উপরে।
জানা গেছে, আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাগজে কলমে কর্মরত ডা. ইফতেরখারুল ইসলাম আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শহিদুর রহমানের সহযোগিতায় দীর্ঘ ৭ মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।
তবে সরকারি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও চট্টগ্রামের ডেলটা হাসপাতালে নিয়মিত চেম্বার করছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. ইফতেখারুল ইসলাম। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার সুযোগ দেয়ার জন্য আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে মাসোয়ারা দিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিয়ে আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শহিদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে তিনি জানান, ডাক্তার ইফতেখারুল ইসলাম ৭ মাসের মধ্যে সিএল এবং ইএল ছুটি কাটিয়েছেন ৩ মাস।
গত ৯ সেপ্টেম্বর আরো এক মাসের জন্য ইএল ছুটি দেখিয়েছেন। যে ছুটি শেষ হবে আগামী ৮ অক্টোবর। তবে আরও ৩ মাস অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
অভিযুক্ত ডা. ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ি চট্টগ্রাম। বাড়ি থেকে যাতায়াত করেই আমাকে চাকুরি করতে হয়। তার জন্য আমার পক্ষে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয় না। বর্তমানে আমি চট্টগ্রাম ডেলটা হাসপাতালে চেম্বার করছি।
এ বিষয়ে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা জানান, সরকার আমাদের বেতন দেয় মানুষের সেবা করার জন্য। সরকারি বেতন নিয়ে দায়িত্ব অবহেলার কোনো সুযোগ নেই। কেউ দায়িত্ব পালন করতে না চাইলে চাকুরি ছেড়ে দিতে পারেন। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
পাঠকের মতামত: