২০১০ সালে হতে ২০১৬ (জুন) পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে ১৯,৫৪৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশীর লাশ দেশে ফেরত আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বি.এসসি।
সোমবার জাতীয় সংসদে এম, আব্দুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এরআগে, বিকেল সাড়ে ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘ফেরত আনা লাশের মধ্যে ১৫,৬১১ জন প্রবাসী কর্মী হওয়ায় তাদের প্রতি পরিবারকে লাশ পরিবহন ও দাফন খরচ বাবদ ৩৫,০০০ টাকা করে মোট ৫৩ কোটি ৫৬ লাখ ৩ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
এনামুল হকের করা (রাজশাহী-৪) এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোট ৯১টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘অভিযোগকারীদের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় লাইসেন্স বাতিল হওয়া ৯১টি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৮ কোটি ২১ লাক্ষ ৭ হাজার ৯০০ টাকা ক্ষতিগ্রস্থদের প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অসাধু রিক্রুটিং এজেন্সী এবং মধ্যসত্বভোগীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের জন্য মহান জাতীয় সংসদে বৈদেশিক কর্মসংস্থা ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ পাস হয়েছে এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি, নিরাপদ অভিবাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন, সকল অভিবাসীকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য সরকার কর্মসংস্থা ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। এ আইনের আওতায় স্বল্পব্যয়ে বৈধ উপায়ে নিরাপদ অভিবাসন ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় জড়িত হলে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে।
আইনের ৪০ ধারামতে উক্ত আইনটি মোবাইল কোর্ট ২০০৯ এর তফসিলভুক্ত করা হয়েছে এবং ধারা ৩২ ও ৩৫ অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেটগণ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারেন।
পাঠকের মতামত: