ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

২ হাজার ৩৬৭ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা বাতিল অবৈধ ঘোষণার রায় স্থগিত

imagesমানবজমিন ::

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩৬৭ জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা-সংবলিত গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি। পাশাপাশি ওই দিন বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রোববার অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩৬৭ জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা-সংবলিত গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায় স্থগিত চেয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর আবেদন করে। এ আবেদন আজ শুনানির জন্য ওঠে। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। অন্যদিকে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী। সুব্রত চৌধুরী জানান, আদালত হাইকোর্টের রায় ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে ওই দিন বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালের ২২ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩৬৭ জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করে। গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ও ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য কমরেড মণি সিংহ ও অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নাম ছিল এতে। ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওই তালিকা-সংবলিত প্রকাশিত গেজেট বাতিল করা হয়। তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওই তালিকা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে তালিকা বাতিলের ওই প্রজ্ঞাপনটি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে তালিকা বাতিলের ২৯ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। আবেদনকারী হিসেবে এতে পক্ষভুক্ত হন আরও ৩৩ জন মুক্তিযোদ্ধা। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।

পাঠকের মতামত: