ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

সু চি-র দেখা মিলেছে বাড়ির আঙিনায়

দেশ বিদেশ ডেস্ক :: সেনা অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চি-কে দেখতে পেয়েছেন প্রতিবেশিরা। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির সীমানা প্রাচীরের মধ্যে তাকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছেন তার রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটির লিগ (এনএলডি)-এর প্রেস কর্মকর্তা কিয়াই টোয়ে। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনলডি’র এক আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, রাজধানী নেপিদোর সরকারি বাসভবনে তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তারা। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের কোথায় রাখা হয়েছে তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। এরই মধ্যে সোমবার দেশটির ২৪ জন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে সামরিক সরকার এবং সেনা কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ১‌১ জন মন্ত্রী নিয়োগ দেয়।

সেনা সরকার আমলে আটক থাকা অং সান সু চির জন্য নতুন কিছু নয়। সাবেক জান্তা সরকারের আমলে ইয়াঙ্গুনের একটি লেক পাড়ের বাড়িতে ১৫ বছর গৃহবন্দি থেকেছেন তিনি। সেখান থেকেই ১৯৯০ এর দশকে তিনি হয়ে ওঠেন গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা, জেতেন নোবেল শান্তি পুরস্কার। সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগে তাকে আটকের ঘটনা অনেককেই সেই স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়।

তার রাজনৈতিক দল এনএলডি’র এক আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, এবারে তাকে রাখা হয়েছে নির্বাচিত সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা হিসেবে রাজধানী নেপিদোতে বরাদ্দ পাওয়া সরকারি বাড়িতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আইনপ্রণেতা বলেন, ‘আমাদের ভীত না হতে জানানো হয়েছে। তারপরও আমরা ভয় পাচ্ছি। তার একটি ছবি দেখতে পেলে আমরা স্বস্তি পেতাম।’

ইয়াঙ্গুনভিত্তিক বিশ্লেষক খিন জাও উইন বলেছেন, এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে সু চি নিরাপদে আছেন। সব খবরেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তিনি বিপদের মধ্যে নেই। তবে সামরিক সরকার তাকে আড়ালে রাখার কৌশল নিয়েছে বলে মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার লোয়ি ইনস্টিটিউটের হার্ভে লেমাহিয়েও। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে খুব সম্ভবত পরিকল্পনা হলো তাকে জনগণের দৃষ্টি থেকে আড়ালে রাখা… তাকে নেপিদোতে রাখা হয়েছে… যেসব জায়গায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ হতে পারে তার থেকে অনেক দূরে। আমার মনে হয় এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে।’ সু চিকে ভালোভাবে রাখাতে সামরিক বাহিনীর স্বার্থ আছে বলেও মনে করেন এই বিশ্লেষক।

পাঠকের মতামত: