নিউজ ডেস্ক :: সীমিত আকারে গণপরিবহন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আজ বুধবার রাত আটার দিকে তিনি গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সীমিত যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। নৌপরিবহন, ট্রেনও চলবে বলে তিনি জানান।
চলমান ছুটি আপাতত শেষ হচ্ছে ৩০ মে। রবিবার থেকে খুলছে অফিস আদালত। তবে একেবারেই সীমিত পরিসরে এবং পরীক্ষামূলকভাবে। ১৫ জুন পর্যন্ত চলবে এভাবে। তারপর পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এ বিষয়ে আগামীকাল সরকারি আদেশ আসতে পারে।
অফিস আদালতের মত খুবই সীমিত আকারে চালু হবে গণপরিবহন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামীতে গণপরিবহনের ক্ষেত্রে চলমান লকডাউন পুরোপুরি তুলে নেয়ার কথা ভাবা হবে। তবে বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সব মিলিয়ে সরকার সব কিছু এখনই আনুষ্ঠানিক ভাবে খুলে দিচ্ছে না। করোনাভাইরাস সংক্রমন পরিস্থিতি আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করবে সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর একট প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হলেও সেটি আপাতত অনুমোদন পায়নি। বরং ১৫ জুন পর্যন্ত অফিস আদালত সীমিত আকারে খুলে দেয়ার ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত এসেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে। এই সময়ের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি ব্যাপক আকার ধারণ না করলে সব কিছু পর্যায়ক্রমে খুলে দেয়া হবে। আর যদি সংক্রমন পরিস্থিতি ভিন্ন আকার ধারণ করে তাহলে আবারও নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সীমিত আকারে অফিস আদালত খুলে দেয়া হচ্ছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করবে। অসুস্থ, বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলারা অফিসে আসবেন না।
প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশব্যাপী হাট বাজার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলবে।
গণপরিবহনের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণপরিবহনও খুবই সীমিত আকারে চলবে। শুধু রাজধানীতে নাকি সারা দেশে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারাদেশেই চলবে। খুব স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বেই লকডাউন ধীরে ধীরে তুলে দেয়া হচ্ছে। আমাদেরকেও দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেভাবে দিনে এক হাজার ১৫শ লোক মারা যাচ্ছে আমাদের এখানে সে পরিস্থিতি নেই। তিনি জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় ধীরে ধীরে সবকিছু খুলে দেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: