ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

সালাউদ্দিন আহমেদকে বীরের বেশে বরণ করতে প্রস্তুত দলীয় নেতাকর্মী ও পেকুয়াবাসী

মোঃ ফারুক, পেকুয়া:

কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ ভারত থেকে দেশে ফেরার জন্য অনাপত্তিপত্র পাওয়ায় নিজ এলাকা পেকুয়া উপজেলায় দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের মাঝে বয়ে যাচ্ছে খুশির বন্যা।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র রফিকুল আলম এক ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য নিশ্চিত করার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বেশ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পেকুয়া উপজেলা বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম বাহাদুর শাহ জানান, পেকুয়ার সন্তান সালাউদ্দিন আহমেদ একজন জাতীয় নেতা। সরকারের রোষানলে পড়ে বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতে খুব কষ্টে দিনাপাত করছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে প্রিয় নেতা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছিল দেশে ফেরার জন্য। দেশের মানুষ ও মাটিকে খুব ভালবাসেন বলেই দেশে চলে আসতে সব সময় চেষ্টা করেন। অবশেষে সত্যের জয় হলো। সরকার প্রতিহিংসা বাদ দিলে বাংলাদেশের মামলায়ও নির্দোষ প্রমাণ হবে। দেশে ফেরার জন্য অনাপত্তিপত্র পাওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জেট এম মোসলেম উদ্দিন জানান, কক্সবাজারের অবিসংবাদিত নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে দেশে ফিরে আসার জন্য অনাপত্তিপত্র দেয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নেতার সাথে মাটি ও মানুষের সাথে নিবিড় সম্পর্ক। আমাদের ভালবাসায় সালাউদ্দিন আহমেদ আবদ্ধ। কক্সবাজারবাসী আনন্দিত, আমরা আনন্দিত। সালাউদ্দিন আহমেদ দেশে আসার পর সরকার বিরোধী আন্দোলন আরো বেশি বেগবান হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠা হয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করবে।

উপজেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুজিবুর হক চৌধুরী জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সফল যোগাযোগমন্ত্রী আমাদের পেকুয়ার সন্তান জনাব সালাউদ্দিন আহমদ দীর্ঘ ৮বছর ভারতে নির্বাসন দিন পার করছেন। অনেকবার চেষ্টা করেছেন দেশে ফেরার জন্য। কিন্তু আইনি জটিলতায় দেশে আসতে পারে নাই। নির্দোষ প্রমাণ হয়ে দেশে আসার অনাপত্তিপত্র পেয়েছেন। এমন খবরে আমরা আনন্দিত। আমরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছি প্রিয় নেতা কখন দেশে এবং আমাদের মাঝে চলে আসবেন। সেদিন দেখবেন আমার নেতার কি জনপ্রিয়তা।

পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট বলেন, জাতীয়তাবাদী দলের প্রাণ আমাদের নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ। কক্সবাজারবাসীর সোনালী সন্তান সরকারের গুম আর খুনের রাজনীতিতে পড়ে গিয়েছিল। আজীবনের জন্য গুম করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণের দোয়ায় ভারতে রেখে আসে সরকারের এজেন্সি। দীর্ঘ ৮বছর আইনী লড়াই শেষে দেশে আসার জন্য অনাপত্তিপত্র পাওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা অনেক খুশি। স্বরণকালের বিশাল শোডাউনের মাধ্যমে নেতাকে বরণ করার জন্য আমরা প্রস্তুত

পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মারেফুল ইসলাম এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, আমরা প্রিয় নেতার জন্য অপেক্ষায় আছি কখন দেশে ফিরবে। সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে এতদিন ভারতে নির্বাসিত জীবন পার করেছেন। মামলায় নির্দোষ প্রমাণ হয়ে দেশে ফেরার জন্য অনাপত্তিপত্র পাওয়ায় দ্রুত দেশে ফিরে আসবেন। আমরা বরণ করার জন্য প্রস্তুত।

পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সিঃ যুগ্ন-আহ্বায়ক মোঃ এরশাদুল আলম জানান, গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করতে বর্তমান সরকার প্রিয় নেতাকে ৬২দিন গুম করে রাখার পর ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যে রেখে আসে। দীর্ঘদিন আইনী লড়াই শেষে নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় এবং ফিরে আসার খবরে পেকুয়ার বিএনপির পরিবার ও সাধারণ জনগণ আনন্দে আত্মহারা। আগামীদিনে ওনার নির্দেশে কক্সবাজার বিএনপি আবারো আন্দোলন সংগ্রামে সরকারের পতন ঘটাবে।

উপজেলা যুবদলের সদস্য পশ্চিম বাইম্যাখালীর বাসিন্দা মোস্তাক আহমদ জানান, প্রিয় নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ এর অনুপ্রেরণায় আমি বিএনপির রাজনীতি করছি। ইনশাল্লাহ নেতাকে ফিরে পেয়ে আমরা অনেক আনন্দিত। দ্রুত যাতে ফিরে সেই দোয়া কামনা করছি।

ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম মানিক জানান, কক্সবাজারের অবিসংবাদিত নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ। সরকার প্রিয় নেতাকে গুম করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মহান আল্লাহ সহায় ছিল বলে আমরা দ্রুত নেতাকে ফিরে পাচ্ছি।

স্থানীয় নুরুল হোছাইন নামে একজন জানান, আমরা পুরো পরিবার সালাউদ্দিন আহমেদ এর মাধ্যমে উপকৃত হয়েছি। পেকুয়ার সন্তান সালাউদ্দিন আহমেদ যেন দ্রুত দেশে চলে আসেন সেই দোয়া কামনা করছি।

পেকুয়া সদর চৌমুহনীর ব্যবসায়ী রুবেল জানান, দলমত নয়, সালাউদ্দিন আহমেদ আমাদের গৌরব, আমাদের অংহকার। আমাদের সন্তান আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এর চেয়ে আনন্দ আর কি হতে পারে। এমনকি আমাদের পিতা মাতারাও পেকুয়ার সন্তানকে বরণ করার জন্য প্রস্তুত।

পেকুয়া সদর বাইম্যাখালীর বাসিন্দা জাকের হোসেন মিয়া জানান, পেকুয়া উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা জনাব সালাউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। দীর্ঘদিন পর দেশে আসার অনুমতি পাওয়ায় মহান আল্লাহ কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

উল্লেখ্যঃ-২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, উদ্‌ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরির সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সালাহউদ্দিনের বিপক্ষে মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন মামলা থেকে খালাস পান। তবে ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলেও খালাস পান তিনি। তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারতের আদালত।

পাঠকের মতামত: