ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘সমাজ ও পরিবার আদর্শিক না হলে আদর্শ মানুষ তৈরী হয় না’ -আলীকদম সেনা জোন কমাণ্ডার

আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::  আলীকদম সেনা জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মনজুরুল হাসান, পিবিজিএম, পিএসসি বলেছেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি পরিসেবা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা অপরিসীম। প্রান্তিক জনপদে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রথম পদক্ষেপটা নেন ইউপি চেয়ারম্যানগণ। একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ভালো করতে হলে জনপ্রতিনিধিদের ভালো হতে হবে। যেমনিভাবে একটি সমাজ ও পরিবার আদর্শিকভাবে বেড়ে না উঠলে আদর্শ মানুষ তৈরী হয় না।’ গত শনিবার (১৪ রমজান) লামা-আলীকদম উপজেলায় নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে সেনা জোনের অন্যান্য সামরিক অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।

আলীকদম সেনা জোনের কনফারেন্স কক্ষ ‘সাকতুয়া হৈর রা’তে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম, লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান, লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম ও আলীকদম উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার প্রমুখ।

জোন কমাণ্ডার মতবিনিময় সভায় আরো বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানগণ রাষ্ট্রের ক্ষুদ্র অংশ ইউনিয়ন পরিষদের যে প্রতিনিধিত্ব করেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেনাবাহিনী আলীকদম ও লামা উপজেলায় ১৯৭২ সাল থেকে শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে। স্বাধীনতাত্তোর বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের যে উত্থান এ জনপদে তৈরী হয় তখন থেকেই সেনা বাহিনী কাজ শুরু করেছিল। যা এখন পর্যন্ত তার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সেনা জোনের প্রচেষ্টা সবসময় নাগরিককেন্দ্রিক উল্লেখ করে জোন কমাণ্ডার আরো বলেন, ‘আপনারা আমাদের ভাই-বন্ধু, দেশের নাগরিক। এ জনপদের যে কোন দুর্যোগে-দুর্বিপাকে অংশগ্রহণ করতে পারলে আমরা গৌরবান্বিত হই।’ তিনি বলেন, ‘আমি জোন কমাণ্ডার হিসেবে যোগদানের পর থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ইতোমধ্যে যেসব উদ্যোগ নিয়েছি তাতে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা ছিল, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

মতবিনিময় সভায় লামা উপজেলার কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান পাহাড়ি সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সদস্যরা সাম্প্রতিক সময়ে মোবাইলে চাঁদা দাবী করছে অভিযোগ করে এ গোষ্ঠীর মুলোৎপাঠনে সেনা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন। তাদের এ দাবীর উত্তরে জোন কমাণ্ডার বলেন, ‘আপনাদের কেউ এ পর্যন্ত সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের নামোল্লেখ করে থানায় মামলা করেননি। সেনা বাহিনী বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে আটক করলেও তাদের নামে থানায় পূর্ব রেকর্ড না থাকায় সহজে তারা ছাড়া পেয়ে যায়।’

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কফিল উদ্দিন, লামা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন, আলীকদম সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, কুরুকপাতা ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো ও নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন উদ্দিন, গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন, ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল হোসাইন, আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন ও ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক ও আলীকদম প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: