সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদীদের অর্থ ও অস্ত্রের যোগান বন্ধ এবং তাদের প্রতি নৈতিক ও বৈষয়িক সমর্থন না দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সন্ত্রাসের পরামর্শদাতা, মদদদাতা ও প্রশিক্ষকদের খুঁজে বের করতে হবে।
বক্তৃতায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্রও বিশ্বনেতাদের অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে পাঁচটার দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে বাংলা দেওয়া ভাষণে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এবার নিয়ে টানা অষ্টমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই ভাষণ শুধুমাত্র দেশীয় পরিমন্ডেলেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, প্রাধান্য পেয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার আদায়, নারীর ক্ষমতায়ন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার মতো সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো। এসেছে বিশ্বমানবতার কথা।
তিনি বলেন, ‘কী দোষ করেছিল আইলান কুর্দি? কি দোষ করেছিল ওমরান-যে আলেপ্পোতে নিজ বাড়িতে মারাত্মক আহত হয়েছে। একজন মা হিসেবে এসব ঘটনা আমার পক্ষে এসব ঘটনা সহ্য করা কঠিন। বিশ্ব বিবেককে কি এসব ঘটনা নাড়া দেবে না?’
প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে সরকারের পরিকল্পনা, দেশের মানুষের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়া, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র দূরিকরণে সরকার কি কি করছে সে সব। উন্নয়নের পথে আরো এগিয়ে যেতে সহযোগিতা চান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এখন আর কোন নিদিষ্ট কোন দেশ বা ব্যক্তির সমস্যা নয়, এই সংকট ছড়িয়ে পরেছে বিশ্বব্যাপী। উল্লেখ করেন গুলশানের হলিআর্টিসানের মতো ঘটনা যেখানে সরকার সফলভাবে সন্ত্রাসীদের দমন করেছে।
বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদের মূল কারণগুলো আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। একই সঙ্গে এদের পরামর্শদাতা, মূল পরিকল্পনাকারী, মদদদাতা, অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহকারী এবং প্রশিক্ষকদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
জাতিসংঘের কর্মসূচি শান্তির সংস্কৃতি বিস্তারে ঢাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে সহিংসতা থেকে বেড়িয়ে আসা দেশগুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সুযোগ হবে বলেও উল্লেখ করেন বাংলাদেশ নেত্রী।
পাঠকের মতামত: