লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: লামা উপজেলার ফাসিয়াখালি ইউনিয়নের ফকিরাখোলা কালাপাড়া এলাকায় খালের বিভিন্ন পয়েন্টে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
অবৈধ বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ। যত্রতত্র ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করায় আতঙ্কে এলাকাবাসী। বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করলেও কোনো কাজে আসছে না বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ফাসিয়াখালি ইউনিয়নের ফকিরাকোলা কালাপাড়ায় বিভিন্ন স্থানে মেশিন দিয়ে খাল থেকে বালু উত্তোলনের করছে। ফলে হুমকিতে পড়েছে খালের দু’পাশের বাড়ি, রাস্তা, ব্রিজ, পাহাড়সহ ফসলি জমি। জানা যায়, ডুলহাজারা ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা আব্দুল হাকিম সোনামিয়ার নেতৃত্বে ডাক্তার আজিজ, নেজাম, নাছিরসহ একটি চক্র ফাসিয়াখালীর কালাপাড়া এলাকায় খালের বিভিন্ন পয়েন্টে মেশিন দিয়ে অবাধে বালু তুলে কোটি কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা করছেন।
বালু ব্যবসায়ীর এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত খাল থেকে প্রতিদিন বালু তুলছে। এসব বালু বিক্রি করছে বিভিন্ন এলাকায়। বালু তোলার ফলে ফাসিয়াখালি ইউনিয়ন সরকারের কোটি টাকার উন্নয়ন হুমকির মুখে।
এ বিষয়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা আব্দুল হাকিম সোনামিয়া বলেন, আমার সম্পর্কে এলাকায় এসে খবর নিয়েন, আমার নাম আব্দুল হাকিম সোনামিয়া আমি যুবলীগ নেতা। বালু ব্যবসা করব নাতো কি করব টাকা কি আপনি দেবেন? আমরা টুকটাক ব্যবসা করি।
অপর অবৈধ বালু উত্তোলনকারী ডাক্তার আজিজের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করে পরে স্বীকার করে বলেন, এখন তো তেমন বালু নাই খুব কম বালু বের হয়। আপনি আবার আসেন আপনার সাথে দেখা করব। পরে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্সে আছে।
আমরা ইতোমধ্যে ফাসিয়াখালির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছি। সামনেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঠকের মতামত: