ডেস্ক নিউজ ::
নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নকে কেন্দ্র করে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্টের সমর্থকরা এমপির সভায় হামলা চালিয়ে দোকানপাট ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
রোববার বিকেলে জেলা শহর মাইজদীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে একটি বৈঠক চলছিল। আসন্ন নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এতে সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিন এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম সামছুদ্দিন জেহানকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্টকে মনোনয়ন না চাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। এরপরই ইমন ভট্টের সমর্থকরা দোকানপাট ও গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় তার সমর্থকরা যাত্রীবাহী ও বিভিন্ন স্ট্যান্ডে থাকা অন্তত ৫০টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে এমপি একরামুল করিম চৌধুরী লাঠি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে রাস্তায় বের হয়ে যুবলীগের কর্মীদের ধাওয়া করে।
সুধারাম থানা পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে পুলিশ। তবে এতে কেউ আহত হয়েছে কিনা জানা নেই।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি জাগো নিউজকে বলেন, যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্টকে সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না চাইতে বললে আমার নির্দেশ মেনে নেয়। কিন্তু নোয়াখালীতে সুশৃঙ্খল আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত করার জন্য একটি কুচক্রী মহল পেছনে লেগে আছে। তারা কোনো সুযোগ পেলে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর জন্য ইন্ধন দেন।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্টের মোবাইলে বার বার ফোন দিয়েও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাঠকের মতামত: