কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সে দেশের সেনাবাহিনীর অভিযানের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। নাফ নদী অতিক্রম করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা যাতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবির সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়।
গত মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ও সাবরাং এলাকা দিয়ে দুটি নৌকায় করে নাফ নদী অতিক্রম করে ৮৬ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। তাদের বেশির ভাগই ছিল নারী ও শিশু। এরপর বুধবার রাতে ঝিমংখালী এলাকা দিয়ে আরও ১৬ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। আটক রোহিঙ্গাদের আবার মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে বিজিবি জানায়।
গত বুধবার রাত থেকে টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত তিন প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন সদস্য) বিজিবি পাঠানো হয়েছে। তারা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে বলে বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ারুল আজিম নিশ্চিত করেছেন।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে বলে জানান টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ। তিনি বলেন, স্থানীয় জেলেদের নাফ নদীর শূন্য রেখা অতিক্রম না করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে রাতে মাছ না ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাফ নদী দিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে বিজিবিকে জানাতে বলা হয়েছে।
উখিয়া সীমান্তের দায়িত্বে থাকা ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, গত মাসে রাখাইন রাজ্যে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার পর থেকে বড় ধরনের কোনো অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকার চৌকিগুলোতে জনবলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর (গতকাল) সন্ধ্যা পর্যন্ত উখিয়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করা ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যে এ সপ্তাহের শুরুর দিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে ৩০ জনের বেশি নিহত হয়। জানা গেছে, দেশটির সেনাবাহিনী এবারই প্রথম হেলিকপ্টার গানশিপ ব্যবহার করেছে।
ভাষা ও ধর্মের মিল থাকায় একসময় টেকনাফের মানুষ মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছিল বলে জানান টেকনাফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক। তিনি আরো বলেন, ‘রোহিঙ্গারা চুরি-ডাকাতি, মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। আমরা মিয়ানমারের আর কোনো নাগরিককে বাংলাদেশে ঠাঁই দিতে রাজি নই। বরং টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করা প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর দাবিতে স্থানীয় মানুষ বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ করেছে। এ আন্দোলন এখনো চলছে।’
প্রকাশ:
২০১৬-১১-১৮ ১৫:৪১:৫৮
আপডেট:২০১৬-১১-১৮ ১৫:৪১:৫৮
- নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবের স্ব-ঘোষিত কমিটি সাংবাদিকরা মানে না
- চকরিয়ায় ডাকাতি,মলম পার্টি,গরু চোর ও নাশকতা মামলার ৭ আসামী গ্রেপ্তার
- হাইওয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় চকরিয়া মহাসড়কে বাড়ছে ছিনতাই
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবের অবৈধ কমিটির অবৈধ নির্বাচন
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির সেক্রেটারীসহ ২জনকে কুপিয়ে জখম
- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের জটিলতা নিরসনে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়ে স্মারকলিপি
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদী ফেনী থেকে গ্রেফতার
- মেদাকচ্ছপিয়ায় পিপলস ফোরাম সাধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
- সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী ও দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের পরিবারকে সরকারি অনুদান
- পাউবোর অবহেলায় মাতামুহুরির সেচ সংকট, বিপাকে লক্ষাধিক কৃষক
- নব্য দোসরদের কারণে সাংবাদিকরা কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য পদ পাচ্ছে না
- ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে বন্যপ্রাণী শিকার করতে গিয়ে বন্দুক রেখে পালালো ২ জন
- চকরিয়ায় আলোচিত ডাবল মার্ডার মামলার দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার
- পেকুয়ায় অটোচালক খুনের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের পরিবারকে সরকারি অনুদান
- চকরিয়ায় মাষ্টার মাইন্ড অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরিতে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদী ফেনী থেকে গ্রেফতার
- ঈদগাঁওতে চেয়ারম্যান জনি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবের স্ব-ঘোষিত কমিটি সাংবাদিকরা মানে না
- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের জটিলতা নিরসনে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়ে স্মারকলিপি
পাঠকের মতামত: