সোয়েব সাঈদ, রামু :: কক্সবাজারের রামুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একই রাতে নিয়ে গেছে দুই পরিবারের পাঁচটি গরু ডাকাতি হয়েছে। রবিবার ভোর রাতে উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মধ্যম মেরংলোয়া গ্রামের মোবাশ্বর আহমদের বাড়ি থেকে বাচুরসহ তিনটি এবং নূর আহমদের বাড়ি থেকে বড় দুইটি গরু নিয়ে গেছে। গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য চার লক্ষ টাকা।
স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ি থেকে বের হন রাত তিনটার দিকে। এসময় গাড়িতে করে কিছু লোককে এলাকার রাস্তায় ঘুরাফেরা করতে দেখে তাদের কাছে কেন এসেছে জানতে চায়। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেয় এবং ইয়াবা পাচারকারীকে ধরতে এসেছে বলে। ডাকাতদের মধ্যে একজন তার দিকে বন্দুক তাক করলে তিনি ভয়ে বাড়িতে চলে যান।
রামু প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদ ভুট্টো জানান- তার বড় বোন কষ্ট করে দুইটি গরু লালন পালন করছিলেন। কিছুদিন আগে একটি গাভী বাচ্চাও দেয়। আজ ভোরে একদল ডাকাত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে ইয়াবা উদ্ধার অভিযানের নামে গাড়িযোগে এলাকায় হানা দিয়ে গরু গুলো লুট করে চলে যায়।
চাকমারকুল এলাকার নূর আহমদ জানান, গভীর রাতে গোয়ালে থাকা গাভীসহ দুইটি বড় বড় গরু নিয়ে গেছে ডাকাতদল। যার আনুমানিক মূল্য হবে আড়াই লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন জানান- গরু চুরির বিষয়ে কোন অভিযোগ পাননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে গরু চুরির বিষয়টিও তিনি এখন জেনেছেন। তবে বিষয়টি জানার পর থানার সেকেন্ড অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গরুর খামারী মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ জানান, প্রতিদিন কোথাও না কোথাও গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটতেছে। গরু ডাকাত সিন্ডিকেট সদস্যরা অনেক শক্তিশালী। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য সাম্প্রতিক সময়ে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এনিয়ে খামারী ও গরুর মালিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
পাঠকের মতামত: