মনির আহমদ, কক্সবাজার :: কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাসিয়াখালী রেঞ্জের মালুমঘাট হাসিনা পাড়ায় কবরস্থানের নাম দিয়ে বনায়নের চারাগাছ কেটে বনভুমি জবর দখল কালে অভিযান চালিয়েছে বনবিভাগ। বনকর্মিরা জবর দখল কারীদের ধাওয়া করে অবৈধভাবে নির্মানাধীন পাকা ঘর সামগ্রী জব্দ এবং কথিত কবরস্থানের জন্য তৈরীকত তিন একরের অধিক বনভুমি উদ্ধার করা হয়।
জানাযায়, মালুমঘাট হাসিনাপাড়া জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি রমজান আলী ও ক্যাশিয়ার ফোরকানুল ইসলাম একদল সংঘবদ্ধ বনভুমি দস্যু। মসজিদ, কবরস্থান, আওয়ামিলীগ অফিস সহ বিভিন্ন কাল্পনিক প্রতিষ্টানের নাম বিক্রী করে বনভুমির জবর দখল করে মোটা টাকায় দখল-বিক্রী করে থাকে এই দখলবাজ চক্র। একএকটি দখল করা জমি করায় বা গন্ডায় বিক্রী করে প্রতিকানি জমি ১০-২০ লক্ষ টাকায়। একই ভাবে বিক্রীর উদ্দেশ্যে সামাজিক বনায়নের চারা গাছ কেটে বিরানভুমিতে পরিণত করে ঘেরা দিচ্ছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ উদ্দিন ডুলাহাজারা বন বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বনদস্যুদের ধাওয়া করে তিন একরের অধিক বনভুমি জবরদখল মুক্ত করেন।
এ ব্যাপারে ফাসিয়াখালী বনরেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ উদ্দিন জানান, ইদানিং ডুলাহাজারা রেঞ্জের বনভুমিতে দখলবাজ চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কক্সবাজার দোহাজারী রেল লাইন এ স্থানের উপর দিয়ে যাওয়ায় রাতারাতি বৃদ্ধি পেয়েছে জমির দাম এবং মালুমঘাট সহ রেল লাইন সংলগ্ন বনভুমির চাহিদা। তাই দিবারাত্রী পাহারা দিতে হচ্ছে বনভুমি রক্ষায়। তিনি আরো বলেন, গত এক সপ্তায়, মালুমঘাট বাজার সংলগ্ন আগর বাগান, সাইরাখালী ও হাসিনা পাড়ায় নির্মানাধীন দিলিপ দাসের নির্মানাধীন পাকা ঘর এবং কথিত কবরস্থান ব্যবসায় অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে অন্তত: ছয় একর বনভূমি জবর দখল মুক্ত করা হয়েছে। বনভূমি দখল মুক্ত রাখতে প্রয়োজনে গুলি করতে দ্বিধা করবেন না বলে জনিয়ে মসজিদ কমিটির কথিত সভাপতি ও ক্যাশিয়ারের বিরোদ্ধে আইনী প্রক্রিয়ায় মামলা করবেন বলেও জানান এই রেঞ্জ কর্মকর্তা।
পাঠকের মতামত: