অনলাইন ডেস্ক ::
মাদক সম্রাট বা মাদকের গডফাদারদের কঠোর আইনের আওতায় আনতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন: বিদ্যমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এ মাদক অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রয়েছে। তবে বিদ্যমান আইনে কোন ব্যক্তির দখলে, কর্তৃত্বে বা অধিকারে মাদকদ্রব্য না পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ নেই। ফলে মাদক ব্যবসায় জড়িত মূল পরিকল্পনাকারীরা সহজেই পার পেয়ে যায়। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে এই খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম পিনু খানের তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন: এ আইনে মাদক ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষক ও মাদকের গডফাদারসহ মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আইনে মাদক ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষকতাকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ তদন্তে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে।’
তিনি জানান: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। ২০১৭ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সকল সংস্থা ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৮৩ জন মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৬টি মামলা দায়ের করেছে। ২০১৮ সালে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪০টি মামলায় ৩৫ হাজার ১১২ জন আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে। জেলা প্রশাসনও এ বিষয়ে সহযোগিতা করে অবৈধ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে।
পাঠকের মতামত: