মহেশখালী প্রতিনিধি :: দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী পাহাড়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চোরাই কাঠ দিয়ে অবৈধ ফিশিং বোট তৈরির হিড়িক পড়েছে।
বনবিভাগের কোন ধরনের অনুমতি ছাড়াই কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের খোদারকুমের পশ্চিমে পাশে ষাইটপাড়া নদীর তীরবর্তী জায়গায় বীরদর্পে এ অবৈধ ফিশিং বোট তৈরী করে চলেছেন।
আর সংশ্লিষ্ঠ বন বিভাগের লোকজন এসব দেখেও রহস্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা ও স্থানিয় বাসিন্দারা।
জানা যায়, প্রতিবছর শুস্ক মৌসুমে বনাঞ্চলের মাদার ট্রি নিধন করে ফিশিং বোট তৈরীর কাজ শুরু করেন কতিপয় প্রভাবশালী বোট ব্যবসায়ীরা। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকায় ফিশিং বোট তৈরীর হিড়িক পড়েছে।
সংশ্লিষ্ঠ মাতারবাড়ী এলাকার আমির উদ্দিন কোম্পানী নামে এক প্রভাবশালী বোট মেরামতের কথা বলে গাছ দস্যুদের সাথে আঁতাত করে রাতের আঁধারে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে বড় বড় ও লম্বা সাইজের মাদারট্রি কেটে বিভিন্ন স’মিলে চিরাইয়ের পর দিন দুপুরে প্রকাশ্যে বৃহদাকার কারগো বোট তৈরী করে চলেছেন।
মুলত এসব মাদারট্রি প্রভাবশালী বোট ব্যবসায়ীরা বনবিভাগের লোকজনকে ম্যানেজ করে মহেশখালীর বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে ফিশিং বোট তৈরী করছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, বোট তৈরীতে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে বনকর্মীদের একটি অলিখিত সমঝোতা রয়েছে। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে মাতারবাড়ী নদীর তীরবর্তী একাধিক পয়েন্টে ফিশিং বোট তৈরীর কাজ অব্যাহত থাকলেও তা বন্ধে কোন কার্যকরি পদক্ষেপ না নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছেন বন বিভাগের লোকজন। যে কারণে সংরক্ষিত বনাঞ্চল এখন দিনদিন মাদারট্রিশূন্য হয়ে পড়েছে।
মাতারবাড়ী উপকূলীয় বনবিট কর্মকতা আলতাফ হোসাইন বলেন, জনবল সংকটে থাকায় তিনি ব্যবস্থা নিতে পারছেনা। উপকূলীয় বন বিভাগের গোরকঘাটা রেন্জ কর্মকতা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, মাতারবাড়ী নদীর তীরবর্তী কোন পয়েন্টেই নতুন করে ফিশিং বোট তৈরীর জন্য বনবিভাগের পক্ষ থেকে কোন বোট ব্যবসায়ীকে অনুমতি দেয়া হয়নি। সুতরাং এখন যে ফিশিং বোট তৈরী করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। তদন্ত করে এ অবৈধ ফিশিং বোট প্রস্তুতকারীদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: