নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :: কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ভোমারিয়াঘোনা রেঞ্চের ভোমরিয়া ঘোনা বিটের ২০১৮-১৯ সনের ৩০ ও ৭৫ হেক্টর সামাজিক বনায়নের আওতায় প্রাপ্তদের সুবিধা না দিয়ে পুজি পতিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সনামে বেনামে প্লট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে বলে অভিয়োগ পাওয়া গেছে। এ বিট কর্মকর্তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ভাঙ্গিয়ে কয়েকজন দালালদের মাধ্যমে সম্পদশালী ও ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সামাজিক বনায়নের প্লট বরাদ্দ দেয়ার খবরে স্থানীয়দের মধ্যে এক প্রকার হাতাহাতি ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ভোমারিয়া ঘোনা বিট কর্মকর্তা ইলিয়াছ দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে স্থানীয় সামাজিক বনায়ন উপকার ভোগিদের সামাজিক বনায়নের প্লট বরাদ্দ না দিয়ে অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। ওই বিট কর্মকর্তা স্থানীয় দালাল, নুরুল আবছার প্রকাশ সোনামিয়া ও জানে আলমের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকায় খুটাখালী, ডুলাহারা, ঈদগাও ও ইসলামপুরসহ বহিরাগতদেরকে এসব সামাজিক বনায়নের সদস্য করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
সুত্র জানায়, ওই বিট কর্মকর্তা ভোমারিয়া ঘোনা বিটে যোগদানের পর থেকে গাছ পাচার, মাটি ও বনভুমির বিভিন্ন জায়গা বিক্রয় করে নিজের পকেটস্থ করে আঙ্গুলপুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে। জায়গা বিক্রির বিরুদ্ধে বাঁধা দিতে গিয়ে এক মহিলাকে মারধর করে। এসব অনিয়ম ও দূর্নীতি বন্ধ না হলে ওই বিট কর্মকর্তার কার্যলয় ঘেরাওসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে সামাজিক বনায়নের উপকার ভোগিদের ন্যায্য আদায় করা হবে।
এসব অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়টি স্থানীয় ভোমারিয়া ঘোনা রেঞ্জকর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোটের কাজে ব্যস্ত থাকায় ওই বিট কর্মকর্তা সুযোগ নিতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বিষয়টি সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) বেলায়ত হোসেনের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ রকম অভিযোগ পাইলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভোমারিয়া ঘোনা বিটকর্মকর্তা ইলিয়াছের অপকর্মের বিষয়ে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা হক মাহবুব মোরর্শেদের সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি অন্যত্রে বদলী হয়ে গেছি। বিষয়টি সহকারী বনসংরক্ষক(এসিএফ)র সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন। ##
পাঠকের মতামত: