ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘ভুয়া চিকিৎসকদের’ বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিসের জন্য বৈধ সনদ ও নিবন্ধন নেই এমন ‘ভুয়া’ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে, রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলা ‘ভুয়া’ চিকিৎসকদের শাস্তির জন্য বিদ্যমান ৩ বছরের কারাদণ্ডের মেয়াদ সংশোধনে তারা নিষ্ক্রিয় কেন, তা আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে রুল জারি করা হয়েছে। রুলে, কর্মকর্তাদের শাস্তি বাড়ানোর জন্য মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০-এর ২৮(৩) এবং ২৯(২) ধারা সংশোধনের পদক্ষেপ নিতে কেন বলা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিনের দায়ের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তিনি গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হিসাবে আবেদনটি জমা দেন। যেখানে ‘ভুয়া’ চিকিৎসকদের শাস্তির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য সরকারকে প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

আবেদনে তিনি বলেন, ‘প্র্যাকটিস করার বৈধ সার্টিফিকেট ও রেজিস্ট্রেশন না থাকা ভুয়া চিকিৎসকের মাধ্যমে অনেক রোগী প্রতারিত হচ্ছেন।’ এ ধরনের ‘ভুয়া’ চিকিৎসক রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এমন বেআইনি কাজের শাস্তি মাত্র ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা যা খুবই অপ্রতুল।’ পিটিশনকারী জে আর খান রবিন নিজেই আবেদনটি উপস্থাপন করেন এবং আজ আবেদনের শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পাঠকের মতামত: