আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল কাদিমির বাগদাদের বাসভবনে ড্রোন হামলা হয়েছে। তবে তিনি অক্ষত অবস্থায় রক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। কাদিমিকে হত্যার চেষ্টায় এ হামলা বলে অভিযোগ সামরিক বাহিনীর।
দেশটির রাজধানী বাগদাদে খাদিমির বাসভবনেই তাকে হত্যায় এই ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। রবিবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দেশটির সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, বিস্ফোরকসহ ড্রোন হামলায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এখন ভালো আছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানায় তারা।
সম্প্রতি গ্রিন জোন এলাকায় ইরান-সমর্থকরা প্রতিবাদ, বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন গত ১০ অক্টোবর ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে। সেই ঘটনার সঙ্গে হামলার ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন দেশটির গোয়েন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, সকালে বিস্ফোরণের আওয়াজ পান তারা। এর পরপরই গুলির আওয়াজ। পরে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তর ও বিদেশি কূটনীতিকদের বাসভবন রয়েছে ওই এলাকায়।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তাকে হত্যাচেষ্টায় এ হামলা চালানো হয়েছে। তারা আরও জানান, হামলায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ছয় জন আহত হয়েছেন।
এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মুস্তফা আল-খাদেমিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-খাদিমির বাসভবনটি রাজধানী বাগদাদের গ্রিনজোনে অবস্থিত। তবে সুরক্ষিত এলাকা হলেও বিস্ফোরক বহনকারী ড্রোন দিয়ে হামলার মাধ্যমে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
হামলার পর টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় মোস্তফা আল-খাদিমি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ইরাকের স্বার্থে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে কয়েকটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দলের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানান, মোস্তফা আল-খাদিমির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দলের ৬ সদস্য বাসভনের বাইরে দায়িত্বপালন করছিলেন এবং ড্রোন হামলায় তারা সবাই আহত হয়েছেন।
গত বছরের মে মাসে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন মোস্তফা আল-খাদিমি। এর আগে তিনি দেশটির গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইরানপন্থি সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সমর্থকরা বাগদাদের গ্রিনজোনের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সেসময় তারা ইরাকের সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের বিরোধীতা করেন। কারণ সর্বশেষ নির্বাচনে ইরাকি পার্লামেন্টে কিছু ক্ষমতা হারিয়েছেন ইরানপন্থিরা।
পাঠকের মতামত: