ঢাকা: বাংলা ভাষার উন্নতি হচ্ছে না। এ নিয়ে গবেষণাও হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত অন্য ভাষার নতুন হাজারও শব্দ আমরা উচ্চরণ করছি। যার বাংলা প্রতিশব্দ নেই। নেই এ নিয়ে বাঙালিদের উদ্বেগও। এতে উদ্বিগ্ন বিতর্কিত ও নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। মঙ্গলবার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে তার মতামতের বিরোধীতাও করেছে কেউ কেউ।
তসলিমার ওই স্ট্যাটাসে শরবিন্দু চক্রবর্তী নামে একজন কমেন্ট করেছেন “শব্দ খুঁজি, শব্দ নেই! অবহেলায় বাংলা ভাষা ক্রমেই দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে; একথা হয়তো ঠিকই আছে। কিন্তু শব্দভাণ্ডারের দিক থেকে বাংলা মোটেও দরিদ্র নয়। আপনার সেই অনুভূতি প্রকাশক শব্দ নিশ্চয় আছে। আপনি হয়তো খুঁজে পাননি!”
তসলিমার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- “সাধু ভাষা এক আনন্দবাজারের সম্পাদকীয় ছাড়া আর কোথাও লেখা হয় না। ভালো যে ওঁরা এখনও লিখছেন ও ভাষায়। তা না হলে সাধু ভাষাটির এতদিনে বিলুপ্তি ঘটে যেতো।” “মাঝে মাঝে আমি আনন্দবাজারের সম্পাদকীয় পড়ি। সাধু ভাষাটি পড়ার জন্যই পড়ি। ভাষাটি বড় মধুর।”
“বাংলা ভাষাটি কদিন বাঁচে কে জানে। এটিকে তো রক্ষা করার কোনও চেষ্টা হচ্ছে না। খুব বেশি নতুন শব্দ তৈরি হচ্ছে না। কমপিউটার, সফ্ট ওয়্যার, সিডি, প্রিন্টার, ব্যাক আপ, পেন ড্রাইভ এরকম হাজারো শব্দ আমরা প্রতিদিন উচ্চারণ করছি –এসবের কোনও প্রচলিত বাংলা প্রতিশব্দ নেই। নেই বলে আমাদের কোনও উদ্বেগও নেই।”
“এভাবেই অবহেলায় অবহেলায় ভাষা প্রথমে দরিদ্র হয়ে যায়, পরে মরে যায়। ভাষাটি যে দরিদ্র তা বাংলায় বই লিখতে গেলেই টের পাই। শব্দ খুঁজি, শব্দ নেই। শেষ অবধি অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার করে লিখতে হয়।”
পাঠকের মতামত: