ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ির পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: বিগত দুই দশকের বেশি সময় ধরে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তবে সেই পরিত্যক্ত ভবনেই পুলিশের ফাঁড়ি। দূর্ঘটনার আশঙ্কার মধ্যেই সেখানে বার জনের মত পুলিশ সদস্য বাস করছেন। একই সঙ্গে রোদ-বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এ চিত্র চকরিয়া উপজেলার মাতামহুরী সাংগঠনিক থানার আওতাধীন বদরখালী ইউনিয়নের পুলিশ ফাঁড়ির।

স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক আল জাবের বলেন, ১৯৯৬ সালে বদরখালী ইউনিয়নের পুলিশ ফাঁড়িটির কার্যক্রম শুরু হয়। বদরখালী সমিতির একটি ভবনে ফাঁড়ির কার্যক্রম শুরু হয়। ভবনটি সমিতিকে ছেড়ে দিতে হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জন্য বরাদ্ধকৃত ভবনটির কয়েকটি কক্ষতে তারা কার্যক্রম চালায়। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবনটি ছেড়ে দেন সেই সময়ের পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। তবে সেই পরিত্যক্ত ভবনে এখনো চলছে পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটির বাইরে ও ভেতরের দেয়ালের অনেক স্থানে বড় ফাটল। দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। টিনের চাউনি দিয়ে পড়ছে অবিরাম বৃষ্টি। পুরো ভবনের ভিতর পানিতে ভর্তি হয়ে আছে। রোদের সময় সূর্যের আলোতে ভবনে থাকা যায়না। ফাঁিড়র আইসির জন্য বরাদ্ধকৃত কক্ষটিতে ১টি টেবিল ও কয়েকটি চেয়ার ছাড়া আর কিছুই নাই। রান্না করার জন্য রুমটিতেও পানিতে ভর্তি অবস্থায় রয়েছে।

ফাঁড়িতে দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টি এলে অফিসের কাগজপত্র ও আমাদের বিছানাপত্র পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। ঝড় হলে তো বিপদ বেশি। ভবন ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় অনেকেই বাইরে বা পাশের দোকান ঘরে আশ্রয় নেন। ঘরের ভেতর থাকলে সব সময় একটা আতঙ্ক কাজ করে।’

ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মহসিন তালুকদার বলেন, ভবনটির এমন বেহাল দশা, সবাই এর ভেতরে ঢুকতেই ভয় পান। পুলিশ সদস্যরা এখানে থাকতে চান না, বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। বছর খানেক আগেও এখানে বেশ কয়েকজন ছিলেন। বর্তমানে কর্মকর্তাসহ ১০ জন রয়েছেন। খুব ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় পুলিশ সদস্যদের। আমাদের পার্শ্বে নৌÑপুলিশ ফাঁড়ির জন্য দৃষ্টিনন্দন ভবন থাকলেও আমরা অসহায় জীবন যাপন করছি। বেশ কিছুদিন আগে এমপি মহোদয়কে ভবনটি সম্পর্কে অবগত করলে ভবনের চাউনির জন্য ১৫ বান্ডিল টিন বরাদ্ধ দেন। তারপরও চাউনি দিয়ে পানি পড়ে। নতুন একটি ভবন আমরা বরাদ্ধ পেলে খুশিমত কাজ করতে পারবো।

চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজি মোঃ মতিউল ইসলাম বলেন, পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের ঝুঁকির বিষয়টি আমরা অবগত আছি। ভবনটি সংস্কার করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও নতুন ভবন নির্মাণে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের জন্য দাপ্তরিক কাজ চলছে।

চকরিয়া-পেকুয়ার সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, বিষয়টি আমার নজরে নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: