নিউজ ডেস্ক :: গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিগত দুই বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন দফতরসমূহের মধ্যে পুলিশ প্রথম স্থান অর্জন করেছে। ভবিষ্যতেও সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
রবিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে পুলিশের রেঞ্জ ও বিশেষায়িত ৩৬টি ইউনিটের প্রধানদের সঙ্গে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ এই আহ্বান জানান।
আইজিপি বলেন, ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলগুলো আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার অন্যতম অনুষঙ্গ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ ধরনের কর্মসূচি চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
অনুষ্ঠানে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ (আইপি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট (টিঅ্যান্ডআইএম), এপিবিএন, পুলিশ স্টাফ কলেজ (পিএসসি), র্যাব, সিআইডি, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ), নৌ-পুলিশ, পিবিআই, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল (সিপিএইচ), ট্রাফিক ড্রাইভিং স্কুল (টিডিএস), ঢাকা রেঞ্জ, টুরিস্ট পুলিশ ইউনিটের সঙ্গে এপিএ স্বাক্ষরিত হয়।
পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি সোহেল রানা জানান, বর্তমানে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর পুলিশের থানা পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। থানা জেলা পুলিশের সঙ্গে, জেলা পুলিশ রেঞ্জ পুলিশের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে। রেঞ্জ ও বিশেষায়িত ইউনিটসমূহ পুলিশ সদর দফতরের সঙ্গে এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
পুলিশ এপিএ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৯৫ ভাগ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৯৭ ভাগ নম্বর পেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের দফতরসমূহের মধ্যে পর পর দুইবার প্রথম স্থান অধিকার করে।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রবর্তন করা হয়।
পাঠকের মতামত: