ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়া ভুমি অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি, দেখার কেউ নেই!

নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া ::  পেকুয়া উপজেলা ভূমি অফিসে প্রতিনিয়ত আশংকাজনকহারে বাড়ছে দালালের দৌরাত্ম্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরধারী না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে এসব দালাল সিন্ডিকেট। এতে ভূমি সেবা নিতে হয়রানীর শিকার হচ্ছে পেকুয়া উপজেলার সাধারণ মানুষ।

সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন চিহ্নিত কয়েকজন দালাল সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তাদের বিরুদ্ধে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিয়েও পরিত্রাণ পাচ্ছেনা আগত সেবা প্রার্থীরা। অফিস খোলার আগে থেকে উৎপেতে থাকে ওই সব দালাল চক্রের সদস্যরা। অনেকে প্রতারক, জাল দলীল সৃজনকারী। এদের মধ্যে রাজাখালী ইউনিয়নের আমিলা পাড়া এলাকার মৃত আমির হামজার ছেলে মোঃ হোছন আলী মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খতিয়ান নং পরিবর্তন করে তথ্য গোপন রেখে ভূয়া খতিয়ান সৃজন করে প্রতারণা করে আসছে বলে এমনি অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগীরা। নামজারী ও রিভিও ক্ষেত্রে হোছন আলী ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানী করে আসছে। অপর দিকে এলাকার চিহ্নিত ও সর্বজনের পরিচিত দালাল আবছারের তান্ডবলীলায় প্রতিনিয়ত নিঃস্ব হচ্ছে ভূমি সেবা গ্রহীতারা।

আবছারের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগী একাধিক লোক সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ স্থানীয় থানায়ও অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত আবছার বারবাকিয়া তহসীল অফিসে বসে বসে আগত লোকদের কাছ থেকে খতিয়ান সৃজন করে দিবে বলিয়া হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এমনকি জমির খাজনা দাখিল কাটার নাম ভাঙ্গিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরেও অভিযোগ করা হয়ছিল।

এরপরেও থেমে নেই সক্রিয় দালাল চক্র। এদের মধ্যে রাজাখালী ইউনিয়নের বজল আহামদের পুত্র ওবাইদুল করিম হুমায়ুন, টৈটং ইউনিয়নের সোঁনাইছড়ী এলাকার ময়েজ উদ্দিন, আবচার, মগনামা ইউনিয়নের আবদুর রহিম, মেহেরনামা এলাকার নুরুল আলম, উজানটিয়া ইউনিয়নের আশেক, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা এলাকার আমির হোসেনসহ ১০/১২ জনের একটি সিন্ডিকেট এসব প্রতারণার জাল পেতে বসে থাকে পেকুয়া ভূমি অফিসে। হাতিয়ে নিচ্ছে অসহায় আগত ভূমি সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা।

এদিকে তথ্য সংগ্রহে জানা যায়, ভূমি অফিসের একজন নারী কেলেংকারীর সাথে জড়িত উম্মাদারের সাথে যোগসাজসে ওই সক্রিয় দালাল সিন্ডিকেট গোপনীয়ভাবে ভূয়া কাগজ পত্রের মাধ্যমে খতিয়ান সৃজন করে আসছে। এতে প্রকৃত জমির মালিকরা হারাতে বসছে তাদের নিজস্ব স্বত্ব।

এবিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মীকি মারমা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবিদককে বলেন, আমি আসার পর থেকে দালালের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমিয়ে এসেছে। অজান্তে ওই সব লোক প্রতারণা করে যাচ্ছে। তবে কয়েক জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন প্রত্রিকার প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তাদের নামে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: