চকরিয়া অফিস:
কক্সবাজারের পেকুয়া-বাঘগুজারা সড়কের উপরে পল্লী বিদ্যুতের সাতটি খুটি হেলে পড়ায় দূর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে । গত একমাস ধরে লক্ষাধিক মানুষ এসব খুটির নিচ দিয়ে চলাচল করলেও পল্লী বিদু্যুতের কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই খুটি মেরামতে। এসব খুটি দ্রুত মেরামত করা না হলে যে কোন সময় প্রাণঘাতী দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ¯’ানীয় লোকজন জানায়। ফলে ওই খুটি ঠিক করতে বিদ্যুৎ অফিস ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের স্মরণাপন্ন হ”েছন শংকিত মানুষ।
জানা গেছে, পল্লী বিদু্যুতের বিতরণ মান উন্নয়নের লক্ষ্যে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পেকুয়ায় আনুষ্টানিকভাবে চালু করা ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সাবষ্টেশন (উপকেন্দ্র)। কক্সবাজার জেলার সদর থেকে ঈদগাঁও-চকরিয়া হয়ে আসা ৩৩ কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন সঞ্চালন লাইনে সংযুক্ত করা হয় পেকুয়া সাবষ্টেশন। পল্লী বিদ্যুৎ সাবষ্টেশনে সংযুক্ত করা ৩৩ কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন সঞ্চালন লাইনের এসব খুটি হেলে পড়ে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পেকুয়া-বাঘগুজারা সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। আর এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় চরম ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হ”েছ। মাত্র এক বছর আগে ¯’াপন করা এসব খুঁটি। বিষয়টি পেকুয়া পল্লী বিদ্যুত অফিস জেনেও কোন ব্যব¯’া নি”েছ না বলে অভিযোগ করেছেন ¯’ানীয়রা।
বাঘগুজারা এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, পেশাগত কাজে প্রতিদিন পেকুয়ায় যেতে হয়। সড়কের পাশে হেলে পড়া খুঁটি সম্পর্কে তিনি জানান, পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির যে অব¯’া তাতেই এ সড়ক দিয়ে চলাফেরা করতে ভয় লাগে। চকরিয়ার কোনাখালী ও ঢেমুশিয়া থেকে নিয়মিত আসা-যাওয়া করা শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী জানান, বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় প্রতিদিন এ পথ দিয়ে কলেজে যেতে হয়। চলতে গিয়ে কখন কি ঘটে যায় এ নিয়ে দুঃচিন্তায় থাকি।
পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কফিল উদ্দীন জানান, জনদূর্ভোগের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তারপরও মানুষজন ভয় নিয়ে চলাচল করে। তিনি এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যব¯’া নেয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুতের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান। এ ব্যাপারে পল্লী বিদু্যুৎ সমিতির পেকুয়া অফিস ইনচার্জ খোরশেদ আলম বলেন, নানা সমস্যার কারণে কাজ করা হয়নি। শুষ্ক মৌসুমে যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যা সমাধান করা হবে। ##
পাঠকের মতামত: