ঢাকা,শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় সংগ্রামের জুমে চলছে বালি উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া ::
পেকুয়ায় সোনাইছড়ি ও যাদুখালী ছড়ায় চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের মহোৎসব। বালি খেকো সিন্ডিকেট টইটং ইউনিয়নের পাহাড়ী প্রবাহমান এ দু’টি ছড়া থেকে অবৈধ উপায়ে বালি উত্তোলন কাজ চলমান রেখেছেন। ছড়ার ৫ টি পৃথক পয়েন্ট থেকে এ সব বালি উত্তোলন করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। দক্ষিন চট্টগ্রাম বনবিভাগের অধীন পাহাড়ী সংরক্ষিত বাগানের জায়গা থেকে এ সব বালি উত্তোলন করছে তারা। পাহাড়ী প্রবাহমান ছড়ায় বালি উত্তোলনের জন্য ৫ টি পৃথক স্থানে একাধিক মেশিন বসিয়েছে। যান্ত্রিক সাহায্যে বালি উত্তোলন করতে গভীর পাহাড়ী দুর্গম স্থানকে বেছে নিয়েছে। পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাসকারী লোকজন জানায়, চলতি বর্ষা মৌসুমে টইটং ইউনিয়নের পূর্ব টইটং সংগ্রামের জুম নামক স্থানে চলছে বালি উত্তোলন। সোনাইছড়ি ছড়ার দুর্গম পাহাড়ী স্থানে প্রচুর বালুর স্তুপ হয়েছে। বর্ষার সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ঢলের পানিতে বালি নিচের দিকে প্রবাহিত হয়। বৃষ্টির এ দিনকে বালি উত্তোলনের জন্য উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নেওয়া হয়ে থাকে। পানির প্রবাহের সঙ্গে বালির প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয়। বালিখেকোরা এ বর্ষার সময় সবচেয়ে বেশী বালির স্তুপ তৈরী করে। আবহাওয়া অনুকুল হলে এ সব বালি পাহাড়ের উঁচুভূমি ও সমতল ভূমির উপর দিয়ে একেবাঁকা সড়ক দিয়ে পাচার হচ্ছে এ সব বালি। প্রতিনিয়ত পাহাড়ী ছড়া থেকে বালি পাচার হওয়ায় চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের বনাঞ্চল হুমকির মধ্যে পড়েছে। একদিকে উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল অন্যদিকে ছড়ার গতি পরিবর্তন হচ্ছে। এতে করে ছড়ার দু’পাশ বিস্তৃতি ঘটিয়ে পার্শ্ববর্তী স্থানের উঁচু নিচু পাহাড় ও টিলাসমুহ পতিত হচ্ছে ছড়ায়। পাহাড়ী এ সব ছড়ায় পরিবেশ ও প্রকৃতির চরম বিপন্ন হওয়ার মত উপক্রম তৈরী হয়েছে। বালি খনিজ সম্পদ। পাহাড়ী ছড়া থেকে যে সব বালি পাচার হচ্ছে এ সবের কোন রাজস্ব সরকার পাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কোন রকম অনুমতি না নিয়ে তারা হরদম বালি উত্তোলন করছে। টইটংয়ের লোকজন ও সংগ্রামের জুমের বনায়নে উপকারভোগীরা জানায়, বনবিভাগ মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে নেপথ্যে থেকে বালি উত্তোলনকারী ওই চক্রকে সহায়তা করছে। তারা দেখেও না দেখার ভান করছে। একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, ৫ টি পয়েন্টে মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলনে জড়িতদের কাছ থেকে রেঞ্জ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বনবিট কর্মকর্তারা নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে থাকেন। ধনিয়াকাটা গ্রামের আজগর, জাহাঙ্গীর, জহিরুল ইসলাম, ছনখোলারজুম গ্রামের মিয়া খোকন, হাজি বাজারের বাচ্চু মিয়া, ডাক্তার নুরুল কবির, মধুখালীর আনোয়ার, এলাহাদাদসহ পূর্ব টইটংয়ের বিপুল লোকজন অভিযোগ করেছেন বালি উত্তোলন কার্য অব্যাহত রয়েছে। সংগ্রামের জুম পাহাড় থেকে যে বালি পাচার করছে এ সবের মুল ইন্ধনদাতা খোদ বনবিভাগের কর্তাবাবু। তারা চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তাকে এ সবের জন্য দায়ী করেছেন। সুত্র জানায়, পাহাড়িয়াখালী গ্রামের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জাফরের ছেলে আলমগীর সংগ্রামের জুম পয়েন্টে মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করছে। টইটং ইউনিয়নের মেম্বার নবী হোছাইন, তার ছোট ভাই আবদুল জলিল প্রকাশ জলু, মৌলভীপাড়ার সোনাইছড়ি এলাকার বাইট্রা সাকের, নবীর হোছাইনের ছেলে রুবেলসহ ৭/৮ জনের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে। এরই মধ্যে মেম্বার নবীর হোছাইন ফেরারী আসামী। তার আয়ের প্রধান উৎস এ বালি উত্তোলন। এ ব্যাপারে বারবাকিয়া রেঞ্জ অফিসার আবদুল গফুর মোল্লা জানায়, বিষয়টি অবগত। পদক্ষেপ অবশ্যই নেব। সারা বছর ওই মোকাম থেকে বালি উত্তোলন হচ্ছে। কেন ব্যবস্থা নেই এমন জানতে চাইলে রেঞ্জ কর্মকর্তা এর সঠিক বক্তব্য এড়িয়ে যান।

######################
পেকুয়ায় পানিতে ডুবে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক,পেকুয়া:
পেকুয়ায় পানিতে ডুবে এক কলেজ ছাত্রীর শলিল সমাধী ঘটেছে। বৃহষ্পতিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই ছাত্রীর নাম বেলী সোলতানা রুছি(১৬)। তিনি ওই এলাকার মকছুদ আহমদের মেয়ে ও পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পারিবারিক সুত্রে জানায়, ওই দিন সকাল ১০টার দিকে রুচি নিজ বাড়ির পুকুরে নেমে গোসল করছিলেন। ওই পুকুরে তার শলিল সমাধি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পুকুরে ওই কলেজ ছাত্রীর মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি মোঃ জাকির হোসেন ভুঁইয়া জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ################
পেকুয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করল পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক,পেকুয়া:
পেকুয়ায় রোজিনা আক্তার (২৯) নামের প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করল পেকুয়া থানা পুলিশ। ২২ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়া গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূইয়া লাশ উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করেছেন। ওসি জানায়, লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরনের প্রস্তুতি চলছে। রোজিনা আক্তার ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী মো: ফরিদ প্রকাশ ওলামিয়ার স্ত্রী। স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই দিন দুপুরে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। গলায় ফাঁস লাগিয়ে বসতবাড়ির একটি কক্ষের আড়ায় ওই প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। তবে আত্মহত্যা নিয়ে পরষ্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। একটি সুত্র জানায়, স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে কলহ দেখা দিয়েছে। স্বামী প্রবাস জীবনে থাকলেও স্ত্রীর সাথে বনিবনা চলছিল। ধারনা করা হচ্ছে, স্বামী স্ত্রীর কলহের জের ধরে প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।

পাঠকের মতামত: