নিজস্ব প্রতিনিধি :
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ওসিকে (টেকনাফ থানার ওসি আব্দুল মজিদ) একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে পুলিশ সুপারকে ফোন দিলেও একই আচরণ। পরে টেকনাফ বিজিবিকে অবহিত করা হলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ততক্ষণে সাংবাদিককের পিঠিয়ে গুরুত্বর জখম করে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। ঘটনার দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনো পুলিশের পক্ষ থেকে হামলাকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এমনকি ঘটনাস্থল পর্যন্ত পরিদর্শন করেনি। পুলিশের এই রহস্যজনক আচরণ আমরা শঙ্কিত। এতে ষ্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে পুলিশের প্রশ্রয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। দোষিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। ১৪ মে সকাল সাড়ে ১০ টায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হামলায় সাংবাদিক আহতদের প্রতিবাদে ডাকা প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক বদিউল আলম, তোফায়েল আহমদ, বিশ্বজিত সেন, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশিদ, সাংবাদিক ফরহাদ ইকবাল, দীপক শর্মা দীপু, মহসীন শেখ, মাহবুবুর রহমান, রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারের সভাপতি আরফাতুল মজিদ, কম্পিউটার অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি বেলাল আহমদ, ক্যামরা পার্সন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ওমর খান প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভা শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল কক্সবাজার শহরের প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক সাক্ষাতে জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন দোষিদের শাস্তি ও সাংবাদিকদের লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে আশ্বাস দেন।
এদিকে আহত সাংবাদিকদের দেখতে হাসপাতালে যান মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
পাঠকের মতামত: