নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় বাবার শ্রাদ্ধ শেষে ফেরার পথে বেপরোয়া গতির পিকআপের চাপায় পাঁচ ভাই নিহত হওয়ার পর আহত আরও এক ভাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার নাম রক্তিম শীল। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় এ নিয়ে মোট ৬ ভাই মারা গেলেন।
আজ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে (ভেন্টিলেটর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি আহত হয়েছিলেন।
চমেকের আইসিইউ বিভাগের চিকিৎসক ডা. হারুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে রক্তিম সুশীলের মৃত্যু হয়েছে।
রক্তিমের শ্যালক অনুপম জানান, জামাইবাবু মারা গেছেন। আমারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমার বোন ও ভাগ্নের কী হবে এখন?
গত ৩০ জানুয়ারি মারা যান কক্সবাজারের চকরিয়ার সুরেশ চন্দ্র সুশীল। ধর্মীয় আচার শেষে স্থানীয় একটি মন্দির থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন সুরেশ চন্দ্রের পাঁচ ছেলে।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলা অংশের মালুমঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নিরুপম শীল (৪০), দীপক শীল (৩৭), চম্পক শীল (৩০), প্লাবন শীল (২২) ও স্মরণ শীল (৪২)। নিহতরা ডুলাহাজারা ইউনিয়নের সগীরশাহ কাটা গ্রামের মৃত সুরেশ চন্দ্র শীলের ছেলে।
অনুপম শর্মা তখন বলেছিলেন, দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার দিন ৮ ফেব্রুয়ারি চমেকে দুলাভাইয়ের আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। সেখানে না পেয়ে বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে খরচ অনেক বেশি। ব্যয় বহন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। তাই ম্যাক্সে একদিন রেখে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। জেনারেল হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসা চলে। পরে ১৩ ফেব্রুয়ারি আবার তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। চমেকের আইসিইউতে তার চিকিৎসা চলছে। এখনো জ্ঞান ফেরেনি। আমার বোন, ভাগ্নেসহ পুরো পরিবার তার দিকে তাকিয়ে আছে।
এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতদের আরেক ভাই প্লাবন চন্দ্র শীল বাদী হয়ে অজ্ঞাত পিকআপভ্যান চালককে আসামি করে চকরিয়া থানায় মামলা করেন।
পাঠকের মতামত: